Anindita Raychaudhury

Anindita-Shruti: অনিন্দিতাকে ভালবাসা কমেনি, তবে যে দূরত্ব তৈরি হল সেটা বোধহয় পূরণ হবে না: শ্রুতি

সত্যিই কি টলিউড ইন্ডাস্ট্রি সহ যে কোনও পেশা দুনিয়ায় বন্ধুত্ব বিরলতম ঘটনা?

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০২ ফেব্রুয়ারি ২০২২ ১৬:৫৬
অনিন্দিতা-শ্রুতির সম্পর্কও কি তা হলে ভাঙল?

অনিন্দিতা-শ্রুতির সম্পর্কও কি তা হলে ভাঙল?

টানা ছ’মাস তাঁরা ছোট পর্দায় মা-মেয়ে ছিলেন। সেই ভালবাসা ডানা মেলেছিল পর্দার বাইরেও। ‘দেশের মাটি’ ধারাবাহিকের ‘নোয়া’ ওরফে শ্রুতি দাস সেই থেকে পর্দার বাইরেও যেন অনিন্দিতা রায়চৌধুরী ওরফে ‘রূপালি’র সত্যিকারের মেয়ে। শীত পড়তেই মেয়ের আবদারে তাকে জয়নগরের টাটকা মোয়া খাইয়েছেন। শ্রুতি কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। ফেসবুকে ঝাঁপিয়ে পড়ে বুক দিয়ে আগলেছেন অনিন্দিতা। একই ভাবে মায়ের যে কোনও সাহসিকতায় মুগ্ধ তাঁর পর্দার মেয়ে। তাঁকে ‘সাহসী মেয়ে’ বলে সম্বোধনও করেছেন শ্রুতি।

সেই সম্পর্কে যেন কালো ছায়া! ঘরোয়া ভাবেই সম্প্রতি বিয়ে সেরেছেন অনিন্দিতা। পাত্র সুদীপ সরকার। তিনিও জনপ্রিয় অভিনেতা। ইন্ডাস্ট্রি দেখে অবাক, কোথাও দেখা যায়নি অভিনেত্রীর পর্দার মেয়েকে! ইন্ডাস্ট্রি দেখে অবাক, কোথাও দেখা যায়নি অভিনেত্রীর পর্দার মেয়েকে! এমনকি, শ্রুতি আইবুড়োভাতও খাওয়াননি তাঁর পর্দার মাকে। উপস্থিত থাকেননি মায়ের বিয়েতেও। তার পরেই জোর গুঞ্জন, অনিন্দিতা-শ্রুতির সম্পর্কেও কি তা হলে ভাঙল? সত্যিই কি টলিউড ইন্ডাস্ট্রি সহ যে কোনও পেশা দুনিয়ায় বন্ধুত্ব বিরলতম ঘটনা?

Advertisement

আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল পর্দার মা-মেয়ের সঙ্গে। কী বলছেন অনিন্দিতা-শ্রুতি?

বরাবরের অকপট শ্রুতি এ বারেও মনে-মুখে এক। তিনি স্পষ্ট জানিয়েছেন, তাঁর অভিমান হয়েছে। ‘নোয়া’ উগরে দিয়েছেন তাঁর অনুভূতি, ‘‘আমি জানতাম না ও প্রেম করছে। আমি জানতাম না ও বিয়ে করছে। সব বাইরে থেকে জেনেছি। জানার পর অভিমান প্রকাশ করে বার্তা পাঠিয়েছিলাম। উত্তরে ‘ধন্যবাদ’ লেখা জবাব পেয়েছি শুধু।’’

স্বাভাবিক ভাবেই মন খারাপ শ্রুতির। অভিনেত্রী বিস্মিত অনিন্দিতার এই আচরণে। তাঁর মনে পড়ছে, মা-বাবার থেকে দূরে থাকে বলে জন্মদিনে অভিনেত্রীর মা অনিন্দিতাকে পায়েস রেঁধে দিয়েছিলেন তিনি। শ্রুতি নিজে হাতে পর্দার মাকে সেই পায়েস খাইয়েছেন! আজ আফশোস তাঁর, ‘‘ভালবেসেছিলাম। সঙ্গে বোধহয় বেশি আশাও করে ফেলছিলাম। আমারই ভুল। ওর প্রতি আমার ভালবাসা একটুও কমেনি। তবে যে দূরত্ব তৈরি হল সেটা বোধহয় পূরণ হবে না।’’

এই মন খারাপের দিনে শ্রুতি পাশে পেয়েছেন তাঁর মা-বাবা, প্রেমিক-পরিচালক স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার আরও এক অভিনেত্রী রুকমা রায়কে। তাঁর অনেক অনুরাগীরই বিষয়টি চোখে পড়েছে। তাঁরা তাঁকে সে কথা লিখে জানিয়েওছেন। শ্রুতি অপ্রস্তুত হয়েছেন! অভিনেত্রীর আরও দাবি, অসময়ে তিনিই অনিন্দিতার মুখে শুনেছিলেন, মানালি, আভেরি, ঈশানি আর শ্রুতি ছাড়া অনিন্দিতার ভাল বন্ধু নেই। বাকি তিন জনকেই শ্রুতি বিয়েতে উপস্থিত দেখেছেন। ব্যতিক্রম কেবল তিনি! এই ঘটনার পরেই অনিন্দিতার বলা কিছু কথা যেন বেশি করে বেজেছে শ্রুতির কানে, ‘‘শিল্পী মহলে কেউ কারও বন্ধু হয় না। সবাইকে এত বিশ্বাস করবি না বোকার মত।’’

যদিও বিষয়টি এ ভাবে দেখতে নারাজ অনিন্দিতা। তাঁর মতে, পরিস্থিতি অনুযায়ী পদক্ষেপ করতে হয়েছে তাঁকে। দাবি, ‘‘আমাদের আইনি বিয়েতে মাস্ক পরে কাগজে কেবল স্বাক্ষর করার সময় উপস্থিত ছিলেন আমাদের মা-বাবারা। সে পর্ব মিটতেই তাঁদের বাড়ি পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছিল। তাঁরাও আনুষ্ঠানিক বিয়ে দেখেননি।’’ সদ্য বিবাহিত অভিনেত্রীর কথায়, কিছু দিনের মধ্যেই উদযাপন উপলক্ষে পার্টি দেবেন তিনি আর সুদীপ। সেখানেই সবাই দেখবেন, মায়ের বিয়ের আনন্দে নেচে আসর মাতিয়ে দিচ্ছেন তাঁরই ‘পর্দার মেয়ে’ শ্রুতি।

আরও পড়ুন
Advertisement