নতুন ধারাবাহিকে কি যিশুকে দেখা যাবে?
বড় বড় থাম। পুরনো দিনের কড়িবরগা দেওয়া বাড়ির ছাদ। উঠোনে সারি পেতে রাখা বেঞ্চ। সামনে টেবিল বোঝাই করা করা লুচি, ছোলার ডাল, পাঁঠার মাংস, মিষ্টি আরও কত কী। শঙ্করের স্বপ্ন এই ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’। সারাটা দিন এই হোটেল সামলাতেই কেটে যায় তাঁর। স্ত্রী ঐশানীর পৃথিবী আবার সম্পূর্ণ আলাদা। দুই আলাদা জগতের মানুষ যখন এক হয় তখন তাদের পৃথিবীটা ঠিক কী ভাবে সাজানো হয়? এমনই এক প্রেমের গল্প নিয়ে আসছে যিশু সেনগুপ্ত এবং নীলাঞ্জনা সেনগুপ্ত প্রযোজিত নতুন ধারাবাহিক ‘হরগৌরী পাইস হোটেল’।
বেশ অনেক বছর পর আবারও কাজে ফিরছেন নীলাঞ্জনা। সঙ্গী অবশ্যই যিশু। সারা দেশ জুড়ে এখন তাঁর প্রতিপত্তি। টালিগঞ্জের এন টি ওয়ান স্টুডিয়োয় ধরা দিলেন পুরনো যিশু। ফিরে গেলেন নিজের পুরনো দিনগুলোয়। পাত পেড়ে খাওয়াদাওয়ার ব্যবস্থাও হয়েছিল। এক দিকে আবারও নিজেদের প্রযোজনা সংস্থা শুরু করার উত্তেজনা। সঙ্গে স্টার জলসার ১৪ বছরের পূর্তি উপলক্ষে আলোর রোশনাইয়ে সেজে উঠেছিল স্টুডিয়োর চার নম্বর ফ্লোর।
এই শঙ্কর-ঐশানী তাঁদের জীবনেরই গল্প। আর এই যে শঙ্করের বাড়ি, তা যেন যিশুর ঢাকুরিয়ার পৈতৃক ভিটে। অভিনেতা বললেন, “এই গল্পটা আমার আর নীলাঞ্জনারই। আমিই এই শঙ্কর। যে কলকাতার ছাপোষা বাড়িতে বড় হয়েছে। অন্য দিকে নীলাঞ্জনা মুম্বইয়ে বড় হওয়া পাশ্চাত্য শিক্ষায় বড় হওয়া মেয়ে। এই গল্পের মধ্যে যেন নিজেদেরই খুঁজে পাচ্ছি।”
নতুন ধারাবাহিকে কি যিশুকে দেখা যাবে? সেই উত্তর যদিও এখনও পাওয়া যায়নি। তবে প্রশ্ন পুরোপুরি উড়িয়ে না দিয়ে অভিনেতা জানালেন, অবিশ্বাস্য যে কোনও কিছু যে কোনও সময় ঘটে যেতেই পারে।
নীলাঞ্জনার কথায়, “আমার জীবনের শঙ্কর যিশুই।” স্ত্রীয়ের কথার রেশ ধরেই বললেন, “আমি আর নীলাঞ্জনা এই রকম পাইস হোটেলে খাবার খেয়ে দীর্ঘ কয়েকটা মাস কাটিয়েছি শুরুর দিকে। সেই দিনগুলো বার বার মনে পড়ে যাচ্ছে আমার।”
নতুন ধারাবাহিকের হাত ধরে দর্শক পেতে চলেছেন নতুন জুটি। রাহুল মজুমদার এবং শুভস্মিতা মুখোপাধ্যায়। রাহুলকে আগে ‘খুকুমণি হোম ডেলিভারি’ ধারাবাহিকে দেখেছে দর্শক। এই নতুন মেগাতে এই নতুন জুটি দর্শক মনে কতটা প্রভাব ফেলে, সেটাই দেখার।