টল, হ্যান্ডসম এবং বলিষ্ঠ অভিনেতা। হৃতিক রোশনের বর্ণনা দিতে গেলে এই তিন উপমাই আদর্শ।
বলিউডের গ্রিক গড হৃত্বিকের জার্নি শুরু হয় আটের দশকে। তাঁকে পর্দায় প্রথম দেখা যায় অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে। ওই ছবিতে শিশু শিল্পী ছিলেন তিনি।
হৃত্বিক সাফল্য পান নায়ক হিসাবে বলিউডে ডেবিউ ফিল্ম থেকেই। ডেবিউ ফিল্ম ছিল ‘কহো না প্যার হ্যায়’। এই ফিল্মে তাঁর বিপরীতে ছিলেন আমিশা পটেল।
এই ফিল্ম বক্স অফিসে এতটাই সাফল্য পেয়েছিল যে, সে সময় হৃত্বিকের ছবি প্রতিটা স্কুল পড়ুয়ার হাতে হাতে ঘুরত।
এই ফিল্মের পর নাকি ৩০ হাজার প্রেম প্রস্তাব পান তিনি! বলিউডের মাইলস্টোন ফিল্ম ‘বাহুবলী’ করার সময় যেমন ৬ হাজার বিয়ের প্রস্তাব পেয়েছিলেন প্রভাস।
কিন্তু জানেন কি এই ফিল্মে প্রথমে করিনা কপূরকে নেওয়ার কথা ভেবেছিলেন পরিচালক।
ফিল্মের স্ক্রিপ্ট পছন্দ হয়নি করিনার। তাঁর বাতিল করা ফিল্মটাই যে বক্স অফিসের রেকর্ড ভেঙে ফেলবে আন্দাজও করতে পারেননি তিনি।
ওই বছরই মুক্তি পায় ‘রিফিউজি’। অভিষেক বচ্চনের বিপরীতে এই ফিল্মেই ডেবিউ করেন তিনি। সে ভাবে লাভ করতে পারেনি ফিল্মটি।
ভুলের মাশুল গুনতে হয়েছিল করিনাকে। হৃত্বিক যেখানে এই প্রথম ফিল্মেই সকলের মন জয় করে ফেলেছিলেন, করিনার সময় লেগেছিল আরও ৪ বছর।
২০০৪ সালে ‘চামেলি’ এবং ২০০৬ সালে ‘ওমকারা’- পর পর এই দুই ফিল্ম লাইমলাইটে আনে করিনাকে। এর মাঝে ‘ফিজা’, ‘কভি খুশি কভি গম’-এ অভিনয় করলেও তিনি মুখ্য চরিত্রে ছিলেন না।
অন্য দিকে হৃত্বিক হয়ে ওঠেন জনপ্রিয় অভিনেতা। প্রচুর পুরস্কারও পান তিনি। ৬টি ফিল্মফেয়ার অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন। উপার্জন এবং জনপ্রিয়তার উপর ভিত্তি করে ফোর্বস ম্যাগাজিনেও তাঁকে অনেক বার দেখা গিয়েছে।
‘কহো না প্যার হ্যায়’-র পর ‘ফিজা’ এবং ‘কভি খুশি কভি গম’-এ অভিনয় করেন তিনি। তার পর ২০০৩ সালের সায়েন্স ফিকশন ‘কোই মিল গ্যায়া’। যা হৃত্বিকের কেরিয়ারেরও গুরুত্বপূর্ণ কাজ।
‘কহো না প্যার হ্যায়’ ছিল আমিশারও ডেবিউ ফিল্ম। পড়াশোনায় মনোযোগী আমিশাও চাননি এত তাড়াতাড়ি কেরিয়ার শুরু করতে।
তিনি সবে স্নাতক করেছিলেন তখন। রাকেশ রোশনের সঙ্গে তাঁদের পারিবারিক সম্পর্ক ছিল। প্রথমে তিনিও এই প্রস্তাব ফিরিয়ে দেন।
কিন্তু পারিবারিক সম্পর্কের জেরে দ্বিতীয় বার ফের একই প্রস্তাব এলে আমিশা তা আর ফেরাতে পারেননি। রাজি হয়ে যান।
তবে এর পর কয়েকটি ফিল্মে দর্শক আমিশাকে পছন্দ করলেও কেরিয়ার বেশি দূর এগোয়নি তাঁর।