Koel Mallick

চার বছর পর ফের মিতিন হয়ে ফিরছেন কোয়েল, কী ভাবে প্রস্তুত করেছিলেন নিজেকে?

চার বছর পর পর্দায় ফিরছে মিতিন মাসি। তাই কোয়েল মল্লিকও তার প্রস্তুতিতে কোনও রকম খামতি রাখেননি। ছবির ট্রেলার থেকেই স্পষ্ট, এ ছবিতে প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করেছেন তিনি।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:৪৯
How Tollywood actress Koel Mallick prepare for her role in Jongole Mitin mashi after four years of the first film

কোয়েল মল্লিক। ছবি: সংগৃহীত।

ঠিক চার বছর আগে পুজোয় মুক্তি পেয়েছিল অরিন্দম শীলের ‘মিতিন মাসি’। মুখ্য ভূমিকায় ছিলেন কোয়েল মল্লিক। এক সময় একাধিক সফল বাণিজ্যিক ছবির নায়িকা ছিলেন কোয়েল। বক্স অফিসে কাঁপিয়েছিলেন নায়কদের সঙ্গে পা মিলিয়ে। তবে তাঁকে খুব একটা মারপিট করতে দেখেননি দর্শক। ‘মিতিন মাসি’ দেখে কোয়েলের প্রচলিত ছবি একেবারে বদলে গিয়েছিল। প্রয়োজনে তিনিও যে চেজ সিকোয়েন্সে দাপিয়ে বেড়াতে পারেন, তা প্রমাণ করেছিল এই ছবি। এ বার পুজোয় আবার ফিরছে মিতিন। কিছু দিন আগেই মুক্তি পেয়েছে অরিন্দম শীল পরিচালিত ‘জঙ্গলে মিতিন মাসি’ ছবির ট্রেলার। সেখানেই বোঝা যাচ্ছে, কোয়েল এ বার ফিরছেন আরও ‘বোল্ড’ অবতারে। আগেরও চেয়ে বেশি অ্যাকশন দৃশ্য রয়েছে এই ছবিতে। কী ভাবে নিজেকে প্রস্তুত করলেন কোয়েল? জানালেন আনন্দবাজার অনলাইনকে।

Advertisement

কোয়েল বললেন, ‘‘আমি বরাবরই ফিটনেস সচেতন। ফিটনেস ফ্রিক বলা যাবে না আমায়। তবে সুস্থ থাকার জন্য যেটুকু প্রয়োজন, আমি সেটুকু নিয়মিত করি। রোজ যোগাভ্যাস আর ধ্যান আমার রুটিনের অংশ। কিন্তু মিতিন করার জন্য আমি বিশেষ প্রস্তুতি নিয়েছিলাম। নিজের ওয়ার্কআউট রেজিমটা একটু বদলাই। অনেক বেশি পাওয়ার ট্রেনিং করেছি। বক্সিং করেছি।’’ পরিচালক অরিন্দম যে গোয়েন্দা গল্পের পরিচালনায় সিদ্ধহস্ত, তা ইন্ডাস্ট্রির অনেকেই মানেন। সুচিত্রা ভট্টাচার্যের কাহিনি অবলম্বনে তৈরি মিতিন মাসি ফ্র্যাঞ্চাইজ়ির এটি তাঁর দ্বিতীয় ছবি। চার বছর পর পর্দায় আবার হাজির করছেন মিতিনকে। এ বারের প্রেক্ষাপট জঙ্গল। সাহিত্যনির্ভর গল্প নিয়ে কাজ করা অরিন্দমের বিশেষ পছন্দের। এবং পরিচালক হিসাবে তিনি যে কতটা খুঁতখুঁতে, তা ভালই জানেন তাঁর অভিনেতারা। বক্সিং, পাওয়ার ট্রেনিং— এ সব কি পরিচালকেরই নির্দেশে? কোয়েলের উত্তর, ‘‘আমার নিজেরই মনে হয়েছিল, এই প্রশিক্ষণটা আমার প্রয়োজন। আসলে যে যেমন ভাবে প্র্যাকটিস করেন, তাঁর শরীর সে ভাবে মানিয়ে নেয়। যেমন একজন নৃত্যশিল্পীর শরীরী ভাষা এক রকম। আবার এক জন মার্শিয়াল আর্টসশিল্পীর শরীরী ভাষা অন্য রকম। মনে হয়েছিল, পাওয়ার ট্রেনিং করলে সেটা আমার ব্যক্তিত্বে ফুটে উঠবে। আরও বোল্ড লাগবে আমায়। যে দিন মিতিনের লুক সেট হচ্ছিল, সে দিন অরিন্দমদা আমায় দেখে বললেন, ‘‘এই তো এ বারে আমাদের মিতিনকে পেয়ে গিয়েছি।’’ সেটা শুনে ভারী আনন্দ হয়েছিল।

আরও পড়ুন
Advertisement