Tollywood Gossip

টলিপাড়ার প্রযোজনা সংস্থা কি বন্ধের মুখে? জবাব দিলেন ‘ব্যোমকেশ’, ‘বিয়ে বিভ্রাট’ ছবির প্রযোজক

বড় বাজেটের একাধিক ছবির প্রযোজক তারা। মুক্তির অপেক্ষায় একাধিক ছবি ও সিরিজ়। তার মাঝেই অন্য খবর শোনা যাচ্ছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ১২ অক্টোবর ২০২৩ ২০:১৮
Sources revealed a noted Tollywood production house is going to shut down

—প্রতীকী চিত্র।

সামনে পুজো। শারদীয়ায় বক্স অফিস কাঁপাতে আসছে চারটে বাংলা ছবি। কিন্তু তার মধ্যেই টলিপাড়ায় অন্য খবর। শোনা যাচ্ছে একটি প্রথম সারির প্রযোজনা সংস্থা তাদের অফিস বন্ধ করে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ইন্ডাস্ট্রিতে খোঁজ নিয়ে উঠে আসছে ‘শ্যাডো ফিল্মস’-এর নাম।

Advertisement

সূত্রের খবর, বুধবার সন্ধ্যায় নাকি আচমকা সংস্থার অফিস বন্ধ করে দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি নতুন নোটিস না দেওয়া পর্যন্ত সংস্থার কর্মীদেরও অফিসে আসতে নিষেধ করা হয়েছে। এই সংস্থার প্রযোজিত ছবির মধ্যে রয়েছে সাম্প্রতিক দেব অভিনীত ছবি ‘ব্যোমকেশ ও দুর্গরহস্য’। পরমব্রত চট্টোপাধ্যায় এবং আবীর চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ‘বিয়ে বিভ্রাট’ ছবিটিও এই সংস্থারই প্রযোজিত। ইন্ডাস্ট্রির একাংশের মতে, কলাকুশলীদের সঙ্গে বকেয়া পারিশ্রমিক নিয়ে সমস্যার জেরেই নাকি অফিস বন্ধ করেছে সংস্থা।

সত্য কী, তা জানতে আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে শ্যামসুন্দর দে-র সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। বকেয়া পারিশ্রমিককে কেন্দ্র করে কি কোনও সমস্যা হয়েছে? শ্যামসুন্দর বললেন, ‘‘কোনও ছবির কাজ চলতে থাকলে সেখানে কোনও শিল্পী একটা আংশিক টাকা পেয়েছেন। সব প্রযোজনা সংস্থাতেই এটা হয়ে থাকে।’’ একই সঙ্গে তিনি বললেন, ‘‘ব্যোমকেশ বা বিয়ে বিভ্রাট-এ কারও পারিশ্রমিক বকেয়া আছে বলে শুনিনি।’’ এই প্রযোজনা সংস্থা যে বন্ধ হতে চলেছে সেই বক্তব্যও উড়িয়ে দিলেন শ্যামসুন্দর। তাঁর কথায়, ‘‘আমার অফিস তো দিব্যি চলছে। আমার ফোনও খোলা রয়েছে। সেখানে অফিস বন্ধ হবে কেন বুঝতে পারছি না।’’ কিন্তু টলিপাড়ার শোনা যাচ্ছে তিনি নাকি প্রযোজনা ব্যবসা বন্ধ করে দিতে চাইছেন? এই প্রসঙ্গে শ্যামসুন্দরের বক্তব্য, ‘‘আমি তো এক জন ব্যবসাদার। আজকে স্যাটেলাইট এবং ডিজিটাল স্বত্ব বিক্রি না করতে পারলে শুধুমাত্র বক্স অফিসের উপর নির্ভর করে ব্যবসা করা সম্ভব নয়। দু’বছর পর যদি মনে হয় লাভ হচ্ছে না, তা হলে অন্য কিছু ভাবতেই পারি। তবে এই মুহূর্তে প্রযোজনা বন্ধ করার কোনও পরিকল্পনা আমার নেই।’’

তবে এখানেই শেষ নয়। এই ঘটনার নেপথ্যে নিন্দকরা আবার চিট ফান্ডের যোগ দেখছেন। কারণ কয়েক বছর আগে শ্যামসুন্দর দের নাম চিটফান্ড কেলেঙ্কারিতে জড়িয়েছিল। তখন তাঁর সংস্থার নাম ছিল ‘গ্রিনটাচ’। সেই সংস্থার অন্যতম কর্ণধার ছিলেন তিনি। তা হলে কি চিটফান্ড সংক্রান্ত কোনও সমস্যার কারণেই আগামী দিনে প্রযোজনা থেকে সরে দাঁড়াতে চাইছেন শ্যামসুন্দর? এ সব গুজব স্টুডিয়োপাড়ায় ঘুরছে।

এই মুহূর্তে শ্যাডো ফিল্মস প্রযোজিত একাধিক প্রজেক্ট মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। কৌশিক গঙ্গোপাধ্যায় পরিচালিত ‘অসুখ বিসুখ’ ছবিটির এক দিনের শুটিং বাকি আছে। আবার একটি ওটিটি প্ল্যাটফর্মের জন্য তাদের প্রযোজিত ‘কাঁটায় কাঁটায়’ সিরিজ় মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে। এ ছাড়াও মুক্তির অপেক্ষায় রয়েছে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় অভিনীত ছবি ‘প্রতিপক্ষ’।

আরও পড়ুন
Advertisement