নীলের সঙ্গে বিয়ের পর প্রথম সরস্বতী পুজো কাটালেন তৃণা ছবি ইনস্টাগ্রাম
বিয়ের পরে জোড়ে প্রথম বসন্ত পঞ্চমী নীলাঞ্জন ঘোষ-ইমন চক্রবর্তী, নীল ভট্টাচার্য-তৃণা সাহার। আলাদা রোমাঞ্চ, বাড়তি আনন্দ মনে? সারাটা দিন কী করছেন, কী করবেন তাঁরা? জেনে নিল আনন্দবাজার ডিজিটাল।
গান যাঁদের অন্তরে তাঁরা ৩৬৫ দিনই বীণাপানিকে পুজো করেন। তবু বসন্ত পঞ্চমী মানেই পুজোর পাশাপাশি যেন প্রেমেরও উদযাপন। সেই ডাকে সাড়া দিয়ে ‘নীলামন’ সকাল থেকেই এক জোট। ইমন নতুন বৌ বাসন্তী শাড়ি, লাল ব্লাউজ, গায়ে জড়ানো আঁচলে। নীলাঞ্জন আক্ষরিক অর্থেই ‘নীলাম্বর’ নীল পাঞ্জাবি পরে।
প্রতি বছরের মতো এ বছরেও ইমন আয়োজন করেছিলেন সরস্বতী পুজোর। ছাত্র-ছাত্রীদের পাশাপাশি উপস্থিত ছিলেন পরিবারের অন্যান্যরাও। দেবীর সঙ্গে এদিন পূজিত হন জগন্নাথ দেব। মালায়-চন্দনে সাজানো হয়েছিল শিল্পীর মায়ের ছবি। নব দম্পতিকে এক সঙ্গে অঞ্জলি দিতেও দেখা যায়। সবাইকে শুভেচ্ছা জানানোর পাশাপাশি পুরো অনুষ্ঠান লাইভ করেন তাঁরা।
সকাল থেকে ভয়ানক ব্যস্ত নীল ভট্টাচার্য, তৃণা সাহাও। চলতি মাসেই বিয়ে হয়েছে তাঁদের। কীভাবে উদযাপন করছেন সরস্বতী পুজো? ফোনে ধরতেই আনন্দবাজার ডিজিটালকে তৃণা জানালেন, ‘‘সকাল থেকেই ব্যস্ততা বাড়িতে। পুজো হয়েছে। অঞ্জলি দিয়েই নীল বেরিয়ে গিয়েছে শ্যুটিংয়ে। সকাল সকাল কলটাইম। আমি বাড়ির সবার সঙ্গে হাতে হাতে রান্না করেছি খিচুড়ি, তরকারি, ভাজাভুজি। যদিও এখনই আগুনের কাছে বেশি যেতে দিচ্ছে না শ্বশুর বাড়ির কেউই।’’
পর্দার বাইরে লক্ষ্মী বৌয়ের মতোই সমস্ত দায়িত্ব পালন করেছেন ‘গুনগুন’।
তার পর তিনিও রওনা দিয়েছেন স্টুডিয়োর উদ্দেশে। সারা দিন ব্যস্ত থাকবেন সেটে। বসন্ত পঞ্চমী যে তাহলে বৃথাই গেল? গুনগুনের মতোই খুশি খুশি জবাব এল, ‘‘তা কেন? শ্যুট শেষ হলেই সন্ধে থেকে আবার আমরা এক সঙ্গে। লীনা গঙ্গোপাধ্যায়ের পুজো আছে। নীলের পাড়ার পুজো আছে। আরও কিছু পুজোর নিমন্ত্রণ আছে। সব জায়গাতেই যাওয়ার চেষ্টা করব।’’
‘নীলামন’ বা ‘নীতৃণা’র পাশাপাশি সাধারণের প্রবল আগ্রহ শোভন গঙ্গোপাধ্যায়-স্বস্তিকা দত্তকে নিয়েও। সদ্য ভ্যালেন্টাইন’স ডে-তে প্রেমিকাকে গান উৎসর্গ করেছেন শোভন। বসন্ত পঞ্চমীতে কী করছেন যুগল?
স্বস্তিকার কথায়, ‘‘শোভনের বাড়িতে বড় করে পুজো হয় প্রতি বছর। এ বছরেও হয়েছে। ও সকাল থেকে সেখানেই ব্যস্ত।’’ স্বস্তিকাও কি সেখানেই ছিলেন? সে কথার যদিও স্পষ্ট কোনও উত্তর দেননি তিনি। তবে তাঁর বাড়িতেও পুজো হয় বলে জানিয়েছে অভিনেত্রী।
একই সঙ্গে ফাঁস করেছেন, ‘‘পুজো মিটলে আমাদের বাড়িতে আসবে শোভন।’’
দলছুট জয় সরকার-লোপামুদ্রা মিত্র। সুর তাঁদের এক ছাদের নীচে আনলেও ঘোরতর ছন্দপতন আজেকর দিনে। লোপামুদ্রার কথায়, ‘‘জয় আজ মায়ের কাছে। আমার শ্বশুরবাড়িতে। সেখানে বিশাল পুজো হয়। সকাল সকাল পাঞ্জাবি পরে, সেজেগুজে জয় চলে গিয়েছে সেখানে। সারাদিন থাকবে। গুছিয়ে ভাল-মন্দ রান্না হয়। আজ মা আর ছেলের এক সঙ্গে বসে খাওয়াদাওয়া।’’
আর লোপামুদ্রা? মজার ভঙ্গিতে জানালেন শিল্পী, দেবী নাকি তাঁর উপরে দারুণ রেগে। তাঁর ক্রোধেই নাকি এক মিউজিশিয়ানের হাত ভেঙেছে। এ দিকে বিকেলে যোধপুর পার্কে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান। দুশ্চিন্তার পাশাপাশি জোর কদমে রিহার্সালও চলছে। তিনি কী সাজবেন বসন্ত পঞ্চমীতে? ‘‘বাসন্তী শাড়ি, কপালে একটা বড় টিপ। মানানসই গয়না। এমন সাজে আজ ধরা দিতেই পারি’’ রোম্যান্টিক উত্তর ভেসে এল এবার।