সোনু সুদ।
আদালতের রায় পক্ষে গেল না এই মুহূর্তের জাতীয় নায়ক সোনু সুদের। বৃহস্পতিবার বম্বে হাইকোর্টে খারিজ হয়ে বৃহন্মুম্বই মিউনিসিপ্যাল কর্পোরেশনের (বিএমসি) নোটিসের বিরুদ্ধে দাখিল করা আবেদন এবং অন্তর্বর্তিকালীন রেহাইয়ের আর্জি। নিজের ছ’তলা অ্যাপার্টমেন্টকে হোটেলে রূপান্তরিত করতে সোনু বেআইনি নির্মাণ করেছিলেন বলে অভিযোগ। এরই প্রেক্ষিতে বিএমসি নোটিস দিয়েছিল তাঁকে। যার বিরুদ্ধে আদালতে আবেদন করেছিলেন সোনু।
সোনুর আবেদন খারিজ করে বিচারক পৃথ্বীরাজ চৌহান জানান, পুরো বিষয়টি এখন বিএমসির হাতে অর্থাৎ এ বার সব কিছু তারাই খতিয়ে দেখবে।
সোনু সুদের আইনজীবী অমোঘ সিংহ বিএমসির কাছ থেকে ১০ সপ্তাহের সময় চেয়ে নিয়েছিলেন তাদের নির্দেশ মেনে চলতে। সেই প্রসঙ্গে পৃথ্বীরাজ চৌহান বলেন, “আপনারা দেরি করে ফেলেছেন। অনেক সুযোগ ছিল আপনাদের কাছে। আইন তাঁদেরই সাহায্য করে, যারা যত্নশীল।”
১৯৯২ সাল থেকে বিল্ডিংটি রয়েছে। তার কোন তলায় বেআইনি নির্মাণকাজ চলছিল, তা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা ছিল বিএমসির নোটিসে। মূলত সেই কারণেই শুনানির সময় সোনুর আইনজীবী নোটিসটিকে ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
সোনুর বিরুদ্ধে বিএমসি-র অভিযোগ, নিজের ছ’তলা ‘শক্তিসাগর’ অ্যাপার্টমেন্টকে যাবতীয় অনুমতি ছাড়াই হোটেলে রূপান্তরিত করেছিলেন সোনু। অভিনেতা সম্পর্কে বিএমসি বলেছিল, তাঁর ‘আইনভাঙার অভ্যাস’ আছে। কিন্তু সোনুর আইনজীবীর দাবি, নোটিসে সমস্যার কথা স্পষ্ট ভাবে উল্লেখ করুক বিএমসি। তার উপর ভিত্তি করেই তা হলে পদক্ষেপ করবেন তাঁরা।
বিএমসির তরফ থেকে আইনজীবী অনিল সাখারে জানিয়েছেন, সৌন্দর্যায়নের নামে হোটেলের ঘরগুলি গড়ে তোলেন সোনু এবং বিএমসি তা আটকাতে উদ্যত হলে অসাধু উদ্দেশ্য নিয়ে আদালতের কাছে ছাড়ের আবেদন জানিয়েছেন তিনি। অনিলের কথায়, আবাসিক হোটেলে বাণিজ্যিক ক্রিয়াকলাপ চালিয়ে যাওয়ার অনুমতি পেয়ে যেতে পারেন সোনু। সেই কথাকে মাথায় রেখে অভিনেতার আবেদন খারিজ করে দেওয়ার আর্জি রাখেন আদালতের কাছে।