Taha Shah Badussha

কান উৎসবে কেন দিগ্‌ভ্রান্তের মতো ঘুরছিলেন, বিলোচ্ছিলেন কার্ড? ‘হীরামন্ডি’র ‘তাজদার’ নিজেই কারণ জানালেন

তাহা পৌঁছে গিয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। তাঁকে নাকি কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনিশ্চিত ভাবে এ দিক-ও দিক ঘোরাফেরা করতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
শেষ আপডেট: ২৭ মে ২০২৪ ১২:৫২
Heearmandi actor Taha Shah said that he went Cannes to build contacts with people

তাহা শাহ বাদুশা। ছবি-সংগৃহীত।

‘হীরামন্ডি’ওয়েব সিরিজ়ে অভিনয় করার পর থেকেই খবরে থাকছেন অভিনেতা তাহা শাহ বদুশা। ‘তাজদার বালোচ’ চরিত্রে অভিনয় করে পেয়েছেন 'জাতীয় ক্রাশ'-এর তকমা। তাহা পৌঁছে গিয়েছিলেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। অনুরাগীরা নিজস্বীও তুলেছেন তাঁর সঙ্গে। কিন্তু পাশাপাশি তাঁকে নাকি কান চলচ্চিত্র উৎসবে অনিশ্চিত ভাবে এ দিক-ও দিক ঘোরাফেরাও করতে দেখা গিয়েছে।

Advertisement

এক আন্তর্জাতিক সংবাদমাধ্যমের প্রতিবেদন অনুযায়ী, কান উৎসবের লাল কার্পেটে নাকি তাহা দিগ্ভ্রান্তের মতো ঘুরে বেড়াচ্ছিলেন। এমনকি এক চিত্রগ্রাহককে নাকি অনুরোধ করে নিজের ছবি তোলাতেও দেখা গিয়েছে তাহাকে। সম্প্রতি এক সংবাদমাধ্যমের কাছে এই নিয়ে মুখ খুলেছেন ‘হীরামন্ডি’র ‘তাজদার বালোচ’।

তাহা জানিয়েছেন, এমন কোনও প্রতিবেদন সম্পর্কে তিনি নিজে অবহিত নন। তাঁর কথায়, ‘‘সমাজমাধ্যমে গিয়ে সব কিছু খতিয়ে দেখার আমি সময় পাই না। কিন্তু সমাজমাধ্যমে বেশ কয়েকটি গ্রুপ রয়েছে। তাঁরা কিছু দেখলেই আমায় স্ক্রিনশট পাঠান। সময় পেলেই আমি সেগুলি দেখে নিই। আমায় এই প্রতিবেদন সম্পর্কে কেউ কিছু বলেনি।’’

তবে গত বছর ইফি(ইন্টারন্যাশনাল ফিলম ফেস্টিভ্যাল অফ ইন্ডিয়া)- এ গিয়ে নাকি মানুষের সঙ্গে যোগাযোগ তৈরি করার জন্য ঘোরাফেরা করছিলেন তিনি। তাহা নিজেই বলছেন, ‘‘গত বছর ইফি-তে গিয়ে আমি কিছু যোগাযোগ ‘জোগাড়’ করেছিলাম। সেটা নিয়ে কেউ কোনও কথা বলেনি। তখন আমার হাতে তেমন কোনও কাজ ছিল না।’’

তাহা নিজের ছবি ‘পারো’র প্রচারও সেরেছেন কান চলচ্চিত্র উৎসবে। নিজেই নির্দ্বিধায় জানিয়েছেন যে, কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়ে তিনি যোগাযোগ তৈরি করেছেন। তাহা বলেছেন, ‘‘আমার ছবি লঞ্চ করতে আর যোগাযোগ তৈরি করতে কান চলচ্চিত্র উৎসবে গিয়েছিলাম। আমেরিকা ও কানাডার বহু মানুষ আমায় চিনতে পেরেছেন ‘হীরামন্ডি’র অভিনেতা হিসেবে। আমি সবাইকে আমার কার্ড দিচ্ছিলাম ও ‘হীরামন্ডি’দেখতে অনুরোধ করেছিলাম।’’

তাহা আরও বলছেন, “আমার হয়তো এটা না করলেও চলত। কিন্তু একদিন এমন এক জন মানুষের সঙ্গে দেখা হবে, যার জন্য জীবন বদলে যাবে। আমি এটা বিশ্বাস করি। ৫০০-৬০০ মানুষের মধ্যে এক জন যদি আমায় বিশ্বাস করে, সেটাই অনেক। আমায় যোগাযোগ তৈরি করতেই হবে। আর নিজের কাজে আমি ১০০ শতাংশ দেব।“

Advertisement
আরও পড়ুন