ছবি: আনন্দবাজার আর্কাইভ।
সঙ্কট কাটিয়ে উঠেছেন কবীর সুমন। মেডিক্যাল কলেজ সূত্রে খবর, আগের চেয়ে শারীরিক অবস্থার উন্নতি হয়েছে গায়কের। অক্সিজেন নির্ভরতাও কমেছে আগের থেকে। সারা ক্ষণ অক্সিজেন সাপোর্টের দরকার প়ড়ছে না। চিকিৎসকেরা জানিয়েছেন, প্রয়োজন হলে তবেই অক্সিজেন দেওয়া হবে। যদিও গায়কের ফুসফুস এবং হার্টের সমস্যা রয়েছে। তবে সেই সংক্রান্ত উপসর্গগুলি এখন আর ততটা সক্রিয় নয়। উঠে বসতে পারছেন। মাঝেমাঝে হাঁটাচলাও করছেন তিনি। তবে হাসপাতাল থেকে কবে ছাড়া পাবেন, সে বিষয়ে এখনও নিশ্চিত করে কিছু জানা যায়নি। যেহেতু, হাসপাতালে থাকলে আরও অনেক সংক্রমণে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা থাকে, সে কারণে গায়ককে বাড়ি পাঠানো যায় কি না, তা নিয়েও ভাবনাচিন্তা করছেন চিকিৎসকেরা। তবে পুরোটাই নির্ভর করছে সুমনের শারীরিক অবস্থার উপর। তিনি শারীরিক ভাবে কেমন থাকেন, সেটা বিশ্লেষণ করেই বাকি সিদ্ধান্ত নেবে মেডিক্যাল বোর্ড।
২৯ জানুয়ারি, সোমবার দুপুর ৩টে নাগাদ বুকে সংক্রমণ নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হয়েছিলেন ‘গানওলা’। অক্সিজেন সাপোর্টে রাখা হয়েছিল তৃণমূলের প্রাক্তন সাংসদ তথা শিল্পীকে। বেশ কিছু দিন অসুস্থ ছিলেন সুমন। সোমবার তাঁর শারীরিক অবস্থার অবনতি হলে তড়িঘড়ি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয় তাঁকে। বুকে সংক্রমণের সঙ্গে হৃদ্যন্ত্রেও সমস্যা রয়েছে শিল্পীর। তীব্র শ্বাসকষ্টে ভুগছিলেন। মেডিসিন এবং হৃদ্রোগ (কার্ডিয়োলজি) বিভাগের চিকিৎসকেরা শিল্পীর চিকিৎসা করছেন।
৭৫-এর ‘তরুণ’ কবীর সুমন এখনও সঙ্গীতের নদীতে বহমান সুর-স্রোতের মতো। বর্তমানে বাংলা খেয়াল নিয়ে কাজ করছেন তিনি। সঙ্গীতশিল্পী সুমন একটা সময় প্রত্যক্ষ রাজনীতিতেও এসেছিলেন। তৃণমূলের হয়ে যাদবপুর থেকে লোকসভার সাংসদ হন তিনি। যদিও পরবর্তী কালে তৃণমূলের সঙ্গে তাঁর দূরত্ব কিছুটা বেড়েছিল। পরে তা মিটেও যায়। পরে আর কোনও নির্বাচনে প্রার্থী হননি তিনি। এখন নিজেকে তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ‘সমর্থক’ বলে থাকেন সুমন। এর আগে নাগরিকত্ব আইন নিয়ে কেন্দ্রের বিরুদ্ধে তৃণমূলের সুরে বার বার সরব হন সুমন। বয়সজনিত কারণে ইদানীং মাঝেমধ্যেই তাঁর শারীরিক সমস্যা দেখা যাচ্ছিল বলে জানাচ্ছেন শিল্পীর কয়েক জন ঘনিষ্ঠ। গায়কের হঠাৎ অসুস্থতায় উদ্বেগ ছড়িয়েছিল অনুরাগীদের মধ্যে। তবে তাঁর শারীরিক স্থিতিশীলতার খবরে সেই উদ্বেগ কিছুটা হলেও কেটেছে।