Psoriasis Syndrome

সারা শরীরে লাল লাল ছোপ, যন্ত্রণায় কাতর! কোনও ছোঁয়াচে রোগ হল নাকি কিম কার্দাশিয়ানের?

ক্রনিক ইমিউন ডিজিজ় সোরিয়াসিসে ভুগছেন কিম কার্দাশিয়ান। ৪৩ বছর বয়সি অভিনেত্রীর সারা পা জুড়ে লাল চাকা চাকা দাগ, এ কী হল কিমের? প্রশ্ন অনুরাগীদের।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ০১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ ১২:৫৮
Kim Kardashian shares painful red markings on her legs due to Psoriasis flare up, know about the disease.

কোন রোগে আক্রান্ত কিম কার্দাশিয়ান? ছবি: সংগৃহীত।

যন্ত্রণায় কষ্ট পাচ্ছেন কিম কার্দাশিয়ান। নিজের ভোগান্তির কথা ইনস্টাগ্রামে ভাগ করে নিলেন মডেল-অভিনেত্রী। ক্রনিক ইমিউন ডিজিজ় সোরিয়াসিসে ভুগছেন তিনি। ৪৩ বছর বয়সি অভিনেত্রীর সারা পা জুড়ে লাল চাকা চাকা দাগ। এ কী হল কিমের? প্রশ্ন অনুরাগীদের। ইনস্টাগ্রামে কিম লিখেছেন, ‘‘মিথ্যে কথা বলব না, খুব যন্ত্রণায় আছি। জানি না কেন এমনটা হচ্ছে। আমি আমার ডায়েটেও বদল এনেছি। সব করছি, কিন্তু কিছুতেই কোনও লাভ হচ্ছে না।’’

Advertisement

২৫ বছর বয়স থেকে সোরিয়াসিসের রোগের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কিম। তাঁর মা ক্রিস জ্যানারেরও এই রোগ আছে, আর সেই থেকেই তাঁর শরীরেও এই রোগ ছড়িয়ে পড়েছে।

জিনগত কারণ ছাড়াও মানসিক চাপ, দুশ্চিন্তাও সোরিয়াসিস সংক্রমণকে উস্কে দেয়। এই অসুখে শরীরের বিভিন্ন অংশে গোল গোল ও এবড়োখেবড়ো চাকার মতো দাগ তৈরি হয়। ক্ষত স্থান থেকে মাছের আঁশের মতো খোসা উঠতে থাকে। জায়গাটা খসখসে হয়ে যায়, চুলকানি বাড়ে। ধীরে ধীরে এই অসুখে আক্রান্ত স্থানের রং বদল হয়। লালচে হয় কখনও, কখনও একটু কালচে ছোপের মতো দেখায়। কারও ক্ষেত্রে আক্রান্ত স্থান একটু ফুলে যায়। কারও ক্ষেত্রে এই অসুখ বাড়াবাড়ি পর্যায় পৌঁছলে চামড়া ফেটে রক্ত বা পুঁজও বেরোতে পারে। সাধারণত দেখা যায় যে হাঁটুতে, কনুইতে, মাথায়, হাতের মধ্যে, হাতের তালুতে, পায়ের তালুতে এই রোগের বেশি ছড়িয়ে পড়ে।

Kim Kardashian shares painful red markings on her legs due to Psoriasis flare up, know about the disease.

২৫ বছর বয়স থেকে সোরিয়াসিসের রোগের সঙ্গে লড়াই চালিয়ে যাচ্ছেন কিম। ছবি: সংগৃহীত।

এই রোগ বার বার ঘুরে ফিরে এসে শরীরে হানা দেয়। এক বার এই রোগ প্রকোপ বাড়লে সপ্তাহ খানেক ধরে ভোগান্তি চলে। তার পর আবার কিছু দিনের জন্য ঠিক হয়ে যায়। শীতের মরসুমে ত্বক শুষ্ক থাকে বলে এই সমস্যা বাড়ে। সাধারণত সোরিয়াসিসের রোগীদের ক্ষেত্রে ১০-৩৫ শতাংশের মধ্যে সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিস হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। এতেও সাধারণ আর্থ্রাইটিসের মতোই গাঁটে ব্যথা হয় এবং জয়েন্টগুলো ফুলে যায়। কিম কার্দাশিয়ানও সোরিয়াটিক আর্থ্রাইটিসে আক্রান্ত। একাধিক সাক্ষাৎকারে কিম বলেছেন, মাঝেমাঝেই হাতে ফোন তুলে নেওয়ার মতো জোরও পান না তিনি।

তবে সোরিয়াসিস কোনও ছোঁয়াচে অসুখ নয়। এটি মূলত জিনঘটিত রোগ। তাই রোগীর ছোঁয়াচ বাঁচিয়ে চলার প্রয়োজন নেই।

(সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, X (Twitter), Facebook, Youtube, Threads এবং Instagram পেজ)
আরও পড়ুন
Advertisement