মুম্বইতে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’ ছবির সাকসেস পার্টিতে অভিনেতাদের সঙ্গে অনির্বাণ। ছবি: সংগৃহীত।
১৭ মার্চ মুক্তি পেয়েছে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। বহু দিন পর আবার বড় পর্দায় রানি মুখোপাধ্যায়কে দেখে উত্তেজিত দর্শক। এক দিকে যেমন ছবি ব্যবসা করেছে আশানুরূপ, তেমনই ছবি কুড়িয়েছে বিপুল পরিমাণ প্রশংসাও। এই ছবিতে আরও এক চমক ছিল অনির্বাণের উপস্থিতি। প্রথম বার হিন্দি ছবিতে দেখা গেল তাঁকে। টলিপাড়ায় অনির্বাণের বিপুল জনপ্রিয়তা। তাই প্রিয় নায়ককে রানির পাশে দেখে মুগ্ধ দর্শক।
দীর্ঘ সময় একটা শুটিং ইউনিট কাজ করলে দলের সদস্যদের মধ্যে সখ্য গড়ে ওঠা স্বাভাবিক। তাঁরা হয়ে ওঠেন অনেকটা পরিবারের মতো। এ ক্ষেত্রেও তার অন্যথা হল না। ছবি মুক্তির পর আবারও একসঙ্গে দেখা গেল টিম ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’-কে। একসঙ্গে পাশাপাশি দাঁড়িয়ে সবাই। মধ্যমণি অবশ্যই রানি। ছবির সাফল্যের কথা মাথায় রেখে সম্প্রতি মুম্বইয়ে বিশেষ অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছিল। কালো স্যুটে হাজির হয়েছিলেন অনির্বাণ। অন্য দিকে রানি সেজেছিলেন হলুদ পোশাকে। সঙ্গে ছিলেন ছবির দুই অভিনেতা জিম সার্ভ এবং বালাজি গৌরী। কেক কেটে হল ছবির সাফল্যের উদ্যাপন।
প্রসঙ্গত, নরওয়েতে থাকা বাঙালি দম্পতি সাগরিকা চট্টোপাধ্যায় এবং অনুরূপ ভট্টাচার্যের বাস্তব অভিজ্ঞতা অবলম্বনেই তৈরি হয়েছে ‘মিসেস চ্যাটার্জি ভার্সেস নরওয়ে’। ১৭ মার্চ ছবির মুক্তির দিনই আপত্তি জানান ভারতে থাকা নরওয়ের দূত হ্যান্স জেকব ফ্রাইডেনলুন্ড। তাঁর কথায়, ‘‘এই ছবিটি ভুল তথ্যে ভরা। এক জন নরওয়েজিয়ান হয়ে আমার পরিষ্কার করে দেওয়া কর্তব্য যে, ছবিটিতে তথ্যগত ভুল রয়েছে। এই ছবিতে দুই দেশের যে সাংস্কৃতিক পার্থক্য দেখানো হয়েছে, সে়টাও সম্পূর্ণ সত্য নয়।’’ অবশ্য বিরোধিতা সত্ত্বেও ছবি যে দর্শকদের মনে জায়গা করে নিয়েছে ছবি়টি, নির্মাতাদের সাম্প্রতিক উদ্যাপন তার অন্যতম প্রমাণ।