ছোট এবং বড় পর্দায় সফল গৌরব-শোলাঙ্কি জুটি।
ছোট পর্দায় হিট মথুরামোহন দাস-কাদম্বিনী গঙ্গোপাধ্যায়ের গাঁটছড়া! নতুন জুটি দর্শকদের সব সময়েই চোখ-মনের আরাম, আবারও প্রমাণ করলেন গৌরব চট্টোপাধ্যায়-শোলাঙ্কি রায়। এই মুহূর্তে একই সঙ্গে বড় পর্দা এবং ছোট পর্দায় আধিপত্য বিস্তার তাঁদের। বড় পর্দায় তাঁরা প্রশংসিত উইনডোজ প্রোডাকশনের ‘বাবা বেবি ও…’ ছবির দৌলতে। আর চলতি সপ্তাহের টিআরপি চার্টে এই জুটি ফের চর্চায়, ধারাবাহিক ‘গাঁটছড়া’র সৌজন্যে। অ্যাক্রোপলিস এন্টারটেনমেন্টের এই ধারাবাহিক এ সপ্তাহে ‘সেরা ধারাবাহিক’-এর শিরোপা ছিনিয়ে নিয়েছে।
একই সঙ্গে বড় এবং ছোট পর্দায় জনপ্রিয়তা বিস্তার সহজ নয়। কী ভাবে সম্ভব হল সবটা?
আনন্দবাজার প্রশ্ন রেখেছিল গৌরবের কাছে। যিনি সম্প্রতি ‘মথুরবাবু’র তকমা ছেড়ে হয়েছেন হিরে ব্যবসায়ী ‘ঋদ্ধিমান সিংহ রায়’। কোনও ঐতিহাসিক ব্যক্তিত্বের ভূমিকায় অভিনয়ের পর তার রেশ কাটতে বেশ কিছু সময় লাগে। গৌরব কিন্তু সেই বাধাও অনায়াসে পেরিয়ে এসেছেন। সে কথা স্বীকার করেছেন অভিনেতা নিজেও। দাবি, ‘‘সব থেকে বেশি জনপ্রিয়তা পেয়েছি ‘রাণী রাসমণি’ ধারাবাহিকে ‘মথুরবাবু’র ভূমিকায় অভিনয় করে। সবচেয়ে দ্রুত সেই খোলস ছেড়ে বেরিয়েও আসতে পেরেছি। সত্যিই আমি ভাগ্যবান।’’ একই সঙ্গে তিনি প্রশংসা করেছেন শোলাঙ্কিরও। তাঁর মতে, ভাল অভিনেত্রীর বিপরীতে কাজ করলে আপনা থেকেই অভিনয় ভাল হয়। শোলাঙ্কির সঙ্গে ছোট পর্দায় কাজ করার আগে অরিত্র মুখোপাধ্যায়ের নতুন ছবিতে কাজ করেছেন। বোঝাপড়া ওখান থেকেই তৈরি হয়ে গিয়েছিল বলে জানিয়েছেন গৌরব। যুক্তি, তারই প্রতিফলন পড়েছে ছোট পর্দাতেও। যার জোরে একদম টাটকা জুটির রসায়নও দর্শক দেখতে পছন্দ করছেন।
গৌরবের মতোই শোলাঙ্কিরও ছোট পর্দায় শেষ অভিনয় ঐতিহাসিক চরিত্র। তাঁকে দেখা গিয়েছিল স্টার জলসার ‘প্রথমা কাদম্বিনী’ ধারাবাহিকে। এই চরিত্র তাঁকে ঘরে ঘরে পৌঁছে দিয়েছিল। তার পরেই তিনি বড় পর্দায়, যিশু সেনগুপ্তের বিপরীতে। পাশাপাশি, ‘বাংলা সেরা’ ধারাবাহিকের অন্যতম দাবিদার তিনি। সন্ধে ৭টায় দর্শক আটকে থাকছেন ‘গাঁটছড়া’য় তাঁকে আর গৌরবকে দেখবেন বলে। কেমন লাগছে? ফোনে উচ্ছ্বাস গোপন করেননি অভিনেত্রী। বলেছেন, ‘‘অবশ্যই খুবই আনন্দিত। অনেকে আমায় জানিয়েছেন, তাঁরা আমাদের পর্দায় এক সঙ্গে দেখার জন্য অপেক্ষা করে থাকেন। এই কথাগুলোই ভাল অভিনয়ের পাথেয় হয়ে ওঠে।’’
গৌরবের সঙ্গে আগে কাজের অভিজ্ঞতাও এ ক্ষেত্রে তাঁকে অনেকটাই সাহায্য করেছেন, এ কথাও জানাতে ভোলেননি শোলাঙ্কি। পাশাপাশি, ধারাবাহিকের গল্প, চিত্রনাট্যের বুনোট, বাকি সহ অভিনেতাদের সহযোগিতাকেও ছোট করে দেখতে নারাজ তিনি। শোলাঙ্কির কথায়, ‘‘একটি জুটি জনপ্রিয় করাতে বাকিদের ভূমিকাও যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। সে কথা কিছুতেই ভুলব না। ঋদ্ধিমান-খড়ির মতোই দর্শকেরা কিন্তু রাহুল-দ্যুতি, কুণাল-বনি জুটিদেরও পছন্দ করে। ফলে, আমার আর গৌরবের পাশাপাশি বড় ভূমিকা রয়েছে অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, শ্রীমা ভট্টাচার্য, রিয়াজ লস্কর, অনুষ্কা গোস্বামী। এবং বাকি তাবড় অভিনেতাদের।’’