সলমন খান, বাবা সিদ্দিকি ও শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
প্রাক্তন মন্ত্রী তথা এনসিপি নেতা বাবা সিদ্দিকির মৃত্যুতে স্তব্ধ বলিউড। আক্রান্ত হওয়ার কিছু ক্ষণ আগেও দশেরার শুভেচ্ছা জানিয়েছিলেন। তার পরেই গুলিতে ঝাঁঝরা হয়ে যান তিনি। মুম্বই পুলিশ জানিয়েছে, এই খুনের পিছনেও রয়েছে লরেন্স বিষ্ণোই দলের হাত। এই বিষ্ণোইদের নিশানায় বার বার এসেছেন সলমন খানও। খবর পেয়েই শুটিং ছেড়ে বাবা সিদ্দিকিকে শেষ দেখা দেখতে তড়িঘড়ি লীলাবতী হাসপাতালে পৌঁছন ভাইজান।
বাবা সিদ্দিকির সঙ্গে সুসম্পর্ক সলমনের। তাঁর জন্যই শাহরুখের সঙ্গে ফের মিটমাট হয়েছিল সলমনের। বি-টাউনে প্রায়ই কাণ্ডারীর ভূমিকা পালন করে এসেছেন বাবা সিদ্দিকি।
সেটা ২০১৩ সাল। শাহরুখ ও সলমনের মধ্যে তখন প্রায় ঠান্ডা যুদ্ধ চলছে। সলমনের প্রাক্তন প্রেমিকা ক্যাটরিনা কইফের জন্মদিনের পার্টিতে তর্কে জড়ান বলিউডের দুই খান। তার পরেই সম্পর্কে দূরত্ব তৈরি হয়। এর পরে বলিউডও প্রায় দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়। এক দিকে শাহরুখের অনুগামীরা। অন্য দিকে সলমনের। অগত্যা হস্তক্ষেপ করতে হয় বাবা সিদ্দিকিকে। রাজনীতির দুনিয়ার মানুষ হলেই বলিউডের সঙ্গে তাঁর সখ্য বার বার ধরা পড়েছে।
বাবা সিদ্দিকির উদ্যোগেই ফের বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে সলমন ও শাহরুখের। ২০১৩-র সেই পার্টিতে দুই খানের বন্ধুত্বে জোড়া লাগান বাবা সিদ্দিকি। একসঙ্গে কাজ করাও শুরু করেন দু’জনে।
প্রতি বছর ইফতারে পার্টির আয়োজন করতেন বাবা সিদ্দিকি। বলিউডের চাঁদের হাট বসত সেই পার্টিতে।
উল্লেখ্য, গত ফেব্রুয়ারিতেই কংগ্রেসের সঙ্গে দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক ত্যাগ করেন সিদ্দিকি। যোগ দেন অজিত পাওয়ারের শিবিরে। তবে তার আগে প্রায় পাঁচ দশক কংগ্রেসের সঙ্গে ছিলেন সিদ্দিকি। তাঁর মৃত্যুর ঘটনায় এখনও পর্যন্ত দুজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। ধৃতদের নাম কর্নেইল সিংহ এবং ধরমরাজ কাশ্যপ। এক জন উত্তরপ্রদেশ এবং এক জন হরিয়ানার বাসিন্দা। পুলিশের দাবি, জেরার মুখে দু’জনই স্বীকার করে নিয়েছেন, তাঁরা বিষ্ণোই গ্যাংয়ের সদস্য।