শীর্ষে থাকা কতটা আনন্দের, কতটা আবার চিন্তার, জানালেন অভিনেত্রী অঙ্কিতা। ছবি : ইনস্টাগ্রাম।
বৃহস্পতিবার মানেই টেলিপাড়ার লক্ষ্মীবার। এই দিনেই ভাগ্য নির্ধারিত হয় সিরিয়াল জগতের। কে দর্শকের মন জয় করল? কে ব্যর্থ হল? তবে শেষ দু'সপ্তাহ ধরে 'জগদ্ধাত্রী'র কপালে সত্যিই লক্ষ্মী সহায়। জি বাংলার মেগা ‘জগদ্ধাত্রী’-তে মজে দর্শক হৃদয়। নতুন মুখ, নতুন গল্পে মন মজেছে বাংলা সিরিয়ালপ্রেমীদের। যার যত টিআরপি, তার দর তত বেশি। জগদ্ধাত্রীর চরিত্রে অঙ্কিতা মল্লিক এবং স্বয়ম্ভুর চরিত্রে সৌম্যদীপ মুখোপাধ্যায়কে রীতিমতো আপন করে নিয়েছেন দর্শক। রোল ক্যামেরা, লাইট, অ্যাকশনের জগতে খুব বেশি দিন হয়নি অঙ্কিতার। মনোবিজ্ঞান নিয়ে পড়াশোনা করছেন। বর্তমানে তৃতীয় বর্ষের ছাত্রী অঙ্কিতা। জন্ম, বেড়ে ওঠা— সবটাই কলকাতায়। আচমকা এত আলোচনা, শীর্ষে থাকা কি আনন্দের? আনন্দবাজার অনলাইনের তরফে অঙ্কিতাকে প্রশ্ন করা হলে তাঁর কথায়, “ভাল লাগছে। দর্শক আমাদের কাজ পছন্দ করছেন। গল্পটা অন্য রকম। পুরো কৃতিত্বই স্নেহাশিসদার (স্নেহাশিস চক্রবর্তী)। আমিও খুশি।”
ও দিকে নিত্যদিন ধারাবাহিক বন্ধের খবর এসেই চলেছে। কোনও ধারাবাহিক ৩ মাসের মাথায় বন্ধ হয়, তো কোনও ধারাবাহিকের মেয়াদ মাত্র ৮ মাস। কয়েক মাস আগেও প্রথম সারির ধারাবাহিকের তালিকায় ১ নম্বরে থাকত ‘মিঠাই’-এর নাম। এখন আর প্রথম ৫-এও দেখা যায় না টিম মিঠাইকে। এ সব দেখে কি নিরাপত্তার অভাব বোধ করেন অঙ্কিতা? অভিনেত্রী বলেন, “আমি কখনও নিরাপত্তাহীনতায় ভুগি না। কারণ সব কিছুর যেমন শুরু আছে, তেমন আবার শেষও আছে। সময়ের নিয়মে যা এক দিন না এক দিন হবেই। তাই আমি ভয় পাই না।”
আপাতত মন দিয়ে কাজ চালিয়ে যেতে চান অভিনেত্রী। তবে অভিনয়ের পাশাপাশি পড়াশোনাও রয়েছে। শুটিংয়ের চাপে নিয়মিত কলেজ যাওয়া সম্ভব না হলেও পড়াশোনা যে সাফল্যের চাবিকাঠি, সেই মন্ত্রেই বিশ্বাসী নায়িকা।