RG Kar Protest

‘তোকে বেশি চিনি বলেই তোর এই স্বার্থহীন লড়াইয়ের জন্য গর্বিত!’ দেবলীনাকে কুর্নিশ তথাগতের

তথাগতের ব্যঙ্গ তাঁদের প্রতি, যাঁরা বলেন, অনেক অভিনেতা, পরিচালক, পরিচিত মানুষদের এ লড়াই নাকি সস্তার ফুটেজের জন্য, জনপ্রিয়তার লোভে।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ অক্টোবর ২০২৪ ২০:০৫
Image Of Tathagata Mukherjee

বিনোদন দুনিয়ার প্রতীকী অনশনকারীদের কুনির্শ তথাগত মুখোপাধ্যায়ের। গ্রাফিক: আনন্দবাজার অনলাইন।

হলেনই বা ‘প্রাক্তন’! দেবলীনা দত্তকে নিয়ে গর্বিত তথাগত মুখোপাধ্যায়। সে কথা তিনি প্রকাশ্যে সমাজমাধ্যমে জানালেন। বাংলা বিনোদন দুনিয়ার যে সাত জন চেনামুখ ২৪ ঘণ্টার প্রতীকী অনশনে বসেছিলেন তাঁদের অন্যতম দেবলীনা দত্ত। তাঁর প্রশংসা করে তথাগত লিখেছেন, “লড়াই জারি থাকুক বন্ধু। প্রাপ্তি ছাড়া, স্বার্থ ছাড়া, শুধুমাত্র ন্যায়ের জন্য লড়াই চালিয়ে যাওয়া ক’জন পারে।” এই মঞ্চে ছিলেন পরিচালক বিরসা দাশগুপ্ত, বিদীপ্তা চক্রবর্তী, সৌম্য বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রান্তিক বন্দ্যোপাধ্যায়, তনিকা বসু, চৈতি ঘোষালও। তাঁদের প্রতিও পূর্ণ সমর্থন রয়েছে পরিচালক-অভিনেতার। তিনি লিখেছেন, “তোমাদের/ তোদের চিনি সহকর্মী হিসাবে, বন্ধু হিসাবে। মেরুদণ্ডী মানুষ হিসেবে চিনলাম। এর চেয়ে বড় প্রাপ্তি আর কী হতে পারে! তোমরা বাংলা সিনেমার কর্মী হিসাবে বাংলা সিনেমাকে গর্বিত করেছ।”

Advertisement

দেবলীনাকে সম্বোধন করে তথাগত আরও লিখেছেন, “ব্যক্তিগত ভাবে তোকে সবচেয়ে বেশি চিনি। তাই নিসঙ্কোচে, নির্দ্বিধায় বলতে পারি— গত তিন মাসের এই স্বার্থহীন লড়াই পরিচিত সবাইকে, আমাকে নিশ্চিত ভাবে গর্বিত করেছে।”

আরজি কর-কাণ্ডের শুরু থেকে বাংলা বিনোদন দুনিয়া জড়িত। কখনও প্রতিবাদ মিছিলে পা মিলিয়েছেন খ্যাতনামীরা। কখনও রাতদখলের ডাকে সাড়া দিয়ে পথে নেমেছেন। সেই অনুভূতি থেকেই অনশনরত চিকিৎসকদের সমর্থনে, সাধারণ মানুষের জন্য দাবিদাওয়া আদায়ের আন্দোলনে এক দিনের প্রতীকী অনশন তাঁদের। যদিও বিনোদন দুনিয়ার এই পদক্ষেপকে সমাজের অনেকেই বাঁকা নজরে দেখেছেন। তথাগত তাঁদেরও কটাক্ষ করতে ছাড়েননি। লিখেছেন, “অনেকের দাবি, অনেক অভিনেতা, পরিচালক, পরিচিত মানুষের এই লড়াই নাকি সস্তার ফুটেজের জন্য। জনপ্রিয়তার লোভে। বলার এটুকুই, এ পোড়া দেশে ফুটেজ পেতে নারী-পুরুষ নির্বিশেষে পোশাক নিরাবরণ করাই যথেষ্ট।”

এ প্রসঙ্গে পাল্টা বক্রোক্তি তথাগতের, উরফি জাভেদ, পুনম পাণ্ডে যে সমাজে ‘সেলিব্রিটি’ বলে খ্যাত, সেই সমাজে শিরদাঁড়ার জন্য এ রকম লক্ষ ফুটেজ ক্যামেরাবন্দি হওয়া দরকার। তাঁর চোখে প্রকৃত ‘সেলিব্রিটি’ তাঁরাই, যাঁরা ঠিক-ভুল, ব্যক্তিগত মতাদর্শের ঊর্ধ্বে উঠে তিন মাস ধরে দাঁতে দাঁত চেপে সমস্ত কাজ ফেলে, নিশ্চিন্ত ভবিষ্যতের ভাবনা ফেলে এ লড়াই জারি রেখেছেন।

আরও পড়ুন
Advertisement