(বাঁ দিকে) ধনুষ, ঐশ্বর্যা রজনীকান্ত। ছবি: সংগৃহীত।
বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেছিলেন দু’বছর আগে। তার পর দুই পরিবারের মধ্যে দিয়ে অনেকটাই জল বয়ে গিয়েছে। অবশেষে বিবাহবিচ্ছেদের মামলা নথিভুক্ত করলেন দক্ষিণী অভিনেতা ধনুষ ও তাঁর স্ত্রী ঐশ্বর্যা রজনীকান্ত।
সূত্রের দাবি, সম্প্রতি চেন্নাইয়ের আদালতে দম্পতি বিবাহবিচ্ছেদের মামলা দায়ের করেছেন। জানা গিয়েছে, উভয় পক্ষের সম্মতিতেই (মিউচুয়াল) বিবাহবিচ্ছেদের প্রক্রিয়া এগোবে। সূত্রের খবর, শীঘ্রই আদালত তাঁদের এই মামলা শুনতে পারে। ২০২২ সালের জানুয়ারি মাসে সমাজমাধ্যমে একটি যৌথ বিবৃতি দ্বারা ধনুষ-ঐশ্বর্যা বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণা করেন। ওই বিবৃতিতে লেখা হয়েছিল, ‘‘১৮ বছরের একসঙ্গে থাকা। বন্ধু, দম্পতি এবং অভিভাবক হিসেবে। একে অপরের শুভাকাঙ্ক্ষী হিসেবে। এই যাত্রা কেবলই একে অপরের সঙ্গ দেওয়ার, বোঝার, বেড়ে ওঠার। একে অপরের জন্য নিজেদের মধ্যে ছোট ছোট বদল ঘটানো এবং তারই সঙ্গে মিলেমিশে যাওয়ার দিন ছিল। আজ এই মুহূর্তে আমরা দু’জনে এমন জায়গায় দাঁড়িয়ে আছি, যেখানে আমাদের পথ আলাদা হয়ে গিয়েছে। ঐশ্বর্যা এবং আমি সিদ্ধান্ত নিয়েছি, দম্পতি হিসেবে আলাদা পথে হাঁটব। স্বতন্ত্র ভাবে নিজেদের চেনার জন্য সময় নেব। আমাদের সিদ্ধান্তকে সম্মান দিয়ে আমাদের ব্যক্তিগত পরিসরে থাকতে দিন দয়া করে। এই মুহূর্তে এই সিদ্ধান্তের সঙ্গে মানিয়ে নিতে হবে আমাদের।’’
২০০৪ সালে মহা ধুমধাম করে বিয়ে হয় দক্ষিণী সুপারস্টার রজনীকান্তের কন্যা ঐশ্বর্যা এবং অভিনেতা ধনুষের। ১৮ বছর বাদে সেই বিয়েতেই যবনিকা পতন। বিয়ের পর নিজের নাম বদলে ঐশ্বর্যা হয়েছিলেন ‘ঐশ্বর্যা আর ধনুষ’। বিবাহবিচ্ছেদের ঘোষণার পর সমাজমাধ্যমে তিনি নিজের নাম পরিবর্তন করে হন ‘ঐশ্বর্যা রজনীকান্ত’। দু’জনে এত দিন আলাদা ছাদের নীচেই থাকছিলেন। দু’জনের সম্পর্ক নিয়ে বিগত কয়েক বছরে নানা গুঞ্জন ছড়িয়েছে। পরে অবশ্য পারিবারিক হস্তক্ষেপে বিষয়টি ধামাচাপা পড়ে। অনেকেরই ধারণা ছিল, হয়তো ভুল বোঝাবুঝি, মান-অভিমান মিটিয়ে নিয়ে ফের এক হবেন তাঁরা! তবে তেমনটা ঘটছে না। অবশেষে আইনি বিচ্ছেদের পথে হাঁটলেন তাঁরা।
বিবাহবিচ্ছেদ ঘোষণার পর ঐশ্বর্যা ‘লাল সালাম’ ছবির মাধ্যমে পরিচালনায় অভিষেক করেছেন। ছবির মুখ্য চরিত্রে অভিনয় করেছেন তাঁর বাবা রজনীকান্ত। অন্য দিকে ধনুষকে দর্শক এর আগে ‘ক্যাপ্টেন মিলার’ ছবিতে দেখেছেন। এর পর দক্ষিণী সঙ্গীত পরিচালক ইলাইয়ারাজার বায়োপিকে অভিনয় করবেন ধনুষ। তবে ধনুষ-ঐশ্বর্যা শেষমেশ বিবাহবিচ্ছেদের পথে অগ্রসর হলেন, তা জেনে অনুরাগীদের একটা বড় অংশ সমাজমাধ্যমে দুঃখপ্রকাশ করেছেন।