বিয়ে ভাঙার নেপথ্যে অন্য ‘টু স্টেটস’ কাহিনি। ছবি: সংগৃহীত।
গত ২০ মার্চ তাঁদের আইনি বিচ্ছেদে সিলমোহর পড়েছে। প্রায় চার বছরের দাম্পত্য। ২০২০ সালের শেষে বিয়ে। মাঝখানে দু’টি বছর সব ঠিকঠাক চললেও ২০২৩ সাল থেকেই শুরু হয় অশান্তি। ২০২৪ থেকে দু’জনের দূরত্ব বাড়তে থাকে। যদিও একসময় সমাজমাধ্যমে জুটি হিসেবে জনপ্রিয় হয়ে ওঠেন তাঁরা। নৃত্যপ্রশিক্ষক স্ত্রীর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে সমাজমাধ্যমে নাচের ভিডিয়ো পোস্ট করতেন ক্রিকেটার চহল। কিন্তু সে সুখ স্থায়ী হল না। শুরু হল অশান্তি। তবে সমাজমাধ্যম দেখে তা বোঝার উপায় ছিল না।
গত ৫ ফেব্রুয়ারি বিবাহবিচ্ছেদের প্রথম আবেদন জানান চহল ও ধনশ্রী। হিন্দু বিবাহ আইনের ১৩বি (২) ধারা অনুযায়ী, দুই পক্ষ বিবাহবিচ্ছেদ চাওয়ার পর ছ’মাস সময় দেয় আদালত। সেই সময় দেওয়া হয়েছিল চহল এবং ধনশ্রীকে। কিন্তু তার আগেই বিচ্ছেদ প্রক্রিয়া সম্পূর্ণ হয়েছে। বম্বে হাই কোর্ট বুধবার নির্দেশ দেয়, খোরপোশ হিসাবে চহলকে ৪ কোটি ৭৫ লক্ষ টাকা দিতে হবে। চহল এখনও পর্যন্ত ২ কোটি ৩৭ লক্ষ ৫৫ হাজার টাকা দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। যদিও বিবাহবিচ্ছেদের কারণ প্রকাশ্যে আনেননি তাঁরা।
তবে জানা গিয়েছে, ধনশ্রী ও চহলের মধ্যে পারিবারিক ও সাংস্কৃতিক পার্থক্যই বিয়ে ভাঙার কারণ হয়ে দাঁড়ায়। চহল হরিয়ানার ছেলে, ধনশ্রী মুম্বইয়ের মেয়ে। যদিও বিয়ের পর চহলের সঙ্গে হরিয়ানাতেই থাকতে শুরু করেছিলেন ধনশ্রী। ক্রিকেট তারকার বাবা-মার সঙ্গে ছিলেন। কিন্তু মানিয়ে নিতে পারেননি ধনশ্রী। মুম্বই ফিরে আসতে চেয়েছিলেন। তাতেই বাধ সাধেন চহল। ক্রিকেটতারকা নাকি বিয়ের আগেই জানিয়ে দিয়েছিলেন তিনি তাঁর শিকড়ের কাছাকাছি পরিবারের কাছেই থাকতে চান। সেখান থেকেই শুরু হয় অশান্তি। অবশেষে বিচ্ছেদ। যদিও ধনশ্রী ও চহল, দু’জনেই এই প্রসঙ্গে দু’জনেই চুপ।