কাজ করে যেতে চান দেব।
২০০৬ থেকে ২০২১। বাংলা ইন্ডাস্ট্রিতে কাটিয়ে ফেলেছেন এক যুগেরও বেশি সময়। কোথা থেকে শুরু করেছিলেন আর কতটা পথ পেরিয়ে এলেন? দেব কি সেই হিসেব রাখেন? ব্যস্ততার ফাঁকে অবসরে ফিরে দেখেন কি নিজের অতীত?
ছবিতে অভিনয় করার পরিকল্পনা ছিল না কখনওই। মুম্বইয়ে গিয়ে আব্বাস-মস্তানের ‘টারজান: দ্য ওয়ান্ডার কার’ ছবিতে কাজ করেছিলেন সহকারী হিসবে। খ্যাতি, যশ, প্রশংসা— চাননি কিছুই। চেয়েছিলেন নিরন্তর কাজ করে যেতে। বাবা গুরুপদ অধিকারীকে তাঁর ব্যবসা চালাতেও সাহায্য করেছেন দীর্ঘ দিন। প্রয়োজনে কাপ-প্লেট ধোওয়া থেকে খাবার পরিবেশন, একা হাতে সবই করেছেন অধুনা অভিনেতা-প্রযোজক। কিন্তু অতীতের সেই সংগ্রাম আজ আর ভাবায় না তাঁকে।
দেবের কথায়, “আমি পিছন ফিরে তাকাতে চাই না। সামনে এত কাজ। আমি যদি পিছনে তাকাতে গিয়ে সময় নষ্ট করি, অতীতে ভেসে গিয়ে যদি গর্ববোধ চলে আসে, অহংকার চলে আসে! খাবারওয়ালার ছেলে হিরো হয়ে গেল, এই ভাবনাটা মাথায় নিতে চাই না। এই যাত্রাটা সম্পূর্ণ করার দায়িত্ব আমার। আমি মনে করি, আমার পথ চলা সবে শুরু হয়েছে। অনেকটা পথ এগিয়ে যেতে হবে। এখন পিছনে তাকালে সময় নষ্ট হবে। এগিয়ে যেতে পারব না।”
অভিনেতা থেকে সাংসদ, তার পর প্রযোজক। একের পর এক ভূমিকায় অবতীর্ণ হয়েছেন দেব। দেখেছেন সাফল্য। বুঝেছেন ব্যর্থতাকেও। কিন্তু কোনও কিছুকেই প্রশ্রয় না দিয়ে চান এগিয়ে যেতে। মনের মতো কাজ যেতে।