Deepfake Video Controversy

সমাজমাধ্যমে ঘুরছে রশ্মিকার ‘আপত্তিকর’ ভিডিয়ো, অভিযুক্তকে ধরতে দিল্লিতে জারি এফআইআর

দিন কয়েক আগেই সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছিল অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার একটি কুরুচিকর ভিডিয়ো। ভিডিয়োর নেপথ্যে থাকা অপরাধীদের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপের আর্জি জানিয়েছেন অমিতাভ বচ্চনও।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন ডেস্ক
মুম্বই শেষ আপডেট: ১১ নভেম্বর ২০২৩ ১৪:২৬
Delhi Police registers FIR in deepfake video case of Rashmika Mandanna

রশ্মিকা মন্দনা। ছবি: সংগৃহীত।

সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হওয়া ‘ডিপফেক’ ভিডিয়ো ঘিরে সপ্তাহখানেক ধরে আলোচনায় রয়েছেন রশ্মিকা মন্দনা। অভিনেত্রীর ওই ‘আপত্তিকর’ ভিডিয়ো সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়ার পর কড়া আইনি পদক্ষেপ করার আর্জি জানিয়েছিলেন তাঁর অনুরাগী থেকে বিনোদন জগতে তাঁর সহকর্মীরাও। সেই তালিকায় ছিলেন অমিতাভ বচ্চন থেকে শুরু করে বিজয় দেবেরাকোন্ডা, নাগা চৈতন্যের মতো তারকা। এ বার ওই ভিডিয়োর নেপথ্যে থাকা অপরাধীদের পাকড়াও করতে উদ্যোগী দিল্লি পুলিশ। ওই ভিডিয়ো নিয়ে দিল্লির মহিলা কমিশন নোটিস পাঠানোর পর এফআইআর জারি করল দিল্লি পুলিশ। ভারতীয় দণ্ডবিধির ৪৬৫, ৪৬৯ ধারায় এবং তথ্যপ্রযুক্তি সংক্রান্ত আইনের ৬৬সি ও ৬৬ই ধারায় জারি করা হয়েছে অভিযোগ।

Advertisement

চলতি সপ্তাহের প্রথম দিকে সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছিল রশ্মিকার একটি ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োয় দেখা যায়, একটি কালো পোশাক পরে লিফ্‌ট থেকে বেরিয়ে আসছেন অভিনেত্রী। সেই পোশাকের ডিপ নেকলাইনের কারণে স্পষ্ট বক্ষবিভাজিকা। ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার কিছু ক্ষণ পরেই জানতে পারা যায়, ভিডিয়োর মহিলা আদপে রশ্মিকা নন। অন্য এক মহিলার ভিডিয়োয় কারসাজি করে অভিনেত্রীর মুখ বসানো হয়েছে। এই তথ্য জানার পরেই অপরাধীর বিরুদ্ধে কড়া শাস্তির দাবি জানাতে শুরু করেন রশ্মিকার অনুরাগীরা। জানতে পারা যায়, ওই ভিডিয়ো আসলে কৃত্রিম মেধা তথা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই)-এর ফসল। এআইয়ের সাহায্যেই জ়ারা প্যাটেল নামক এক মহিলার ভিডিয়োয় রশ্মিকার মুখ বসানো হয়েছে। ভিডিয়োর নেপথ্যে যাঁরা আছেন, তাঁদের বিরুদ্ধে কড়া আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানান বিগ বি।

পরে সমাজমাধ্যমের পাতায় ওই ভিডিয়ো প্রসঙ্গে মুখ খুলে রশ্মিকা লেখেন, ‘‘আমার মুখ বসানো যে ডিপফেক ভিডিয়ো ছড়িয়ে পড়েছে সমাজমাধ্যমের পাতায়, তা নিয়ে কথা বলতে গিয়েও আমার খারাপ লাগছে। এই ঘটনা আমার কাছে যতটা যন্ত্রণার, ততটাই ভয়েরও। কোনও প্রযুক্তির যে এমন অপব্যবহার হতে পারে, তা ভেবেই দুশ্চিন্তা হচ্ছে। বিশেষ করে তাঁদের জন্য, যাঁরা সব সময় ক্যামেরার সামনে থাকেন। আজ আমার পাশে আমার পরিবার, বন্ধু, শুভাকাঙ্ক্ষীরা আছেন। কিন্তু স্কুল-কলেজে পড়ুয়া থাকাকালীন এমন ঘটনা ঘটলে আমি পরিস্থিতি সামলাতে পারতাম না। আমাদের সবার উচিত একজোট হয়ে এই বিষয় নিয়ে কথা বলা।’’

আরও পড়ুন
Advertisement