(বাঁ দিকে) রশ্মিকা মন্দনা, আলিয়া ভট্ট। ছবি: সংগৃহীত।
‘ট্রেন্ড’ শুরু হয়েছিল অভিনেত্রী রশ্মিকা মন্দনার আপত্তিকর ভিডিয়ো দিয়ে। সমাজমাধ্যমের পাতায় ছড়িয়ে পড়েছিল ‘ডিয়ার কমরেড’ খ্যাত অভিনেত্রীর ডিপফেক ভিডিয়ো। অন্য এক মহিলার ভিডিয়োয় বসানো হয়েছিল রশ্মিকার মুখ। নেটমাধ্যমে মুহূর্তের মধ্যে ভাইরাল হয়েছিল সেই ভিডিয়ো। কয়েক দিনের তফাতে ডিপফেক ভিডিয়োর কোপে পড়েন অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কইফ এবং কাজল। ‘টাইগার ৩’ ছবিতে ক্যাটের স্নানপোশাকের ছবিকে বিকৃত করে ছড়িয়ে দেওয়া হয় সমাজমাধ্যমে। অন্য দিকে সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয় এমন একটি ভুয়ো ভিডিয়ো, যাতে দেখা যায় ক্যামেরার সামনেই নিজের পোশাক খুলছেন কাজল। এ বার ডিপফেকের শিকার হলেন অভিনেত্রী আলিয়া ভট্ট।
সম্প্রতি সমাজমাধ্যমের পাতায় ভাইরাল হয়েছে আলিয়ার ডিপফেক ভিডিয়ো। সেই ভিডিয়োয় একটি খোলামেলা পোশাকে দেখা গিয়েছে তাঁকে। সেই পোশাক পরে আপত্তিকর অঙ্গভঙ্গি করতে দেখা যায় আলিয়াকে। ভিডিয়ো থেকেই স্পষ্ট, ওই মহিলা আদৌ আলিয়া নন। তবে আধুনিক প্রযুক্তির কারসাজির সাহায্যে আলিয়ার মুখ বসানো হয়েছে ওই ভিডিয়োয়। সমাজমাধ্যমের পাতায় ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে ওই আপত্তিকর ভিডিয়ো। যদিও এখনও পর্যন্ত এ নিয়ে মুখ খোলেননি আলিয়া।
নভেম্বরের শুরুর দিকে সমাজমাধ্যমে নিজের ডিপফেক ভিডিয়ো ভাইরাল হওয়ার পরে মুখ খুলেছিলেন রশ্মিকা। অভিনেত্রী সমাজমাধ্যমে জানান, নিজের ওই আপত্তিকর ভিডিয়ো দেখে রীতিমতো ভয় পেয়েছেন তিনি। ভিডিয়োর নেপথ্যের কালপ্রিটকে পাকড়াও করতে শুরু হয় তদন্তও। তার পরেও রাশ টানা যাচ্ছে না সমাজমাধ্যমের এই নতুন ‘ট্রেন্ড’কে। একই রকম পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে ক্যাটরিনা এবং কাজলকেও। এ বার ডিপফেকের শিকার হলেন আলিয়া। আধুনিক প্রযুক্তির এমন অপব্যবহার নিয়ে মুখ খুলেছেন খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। অপরাধীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার দাবিও জানিয়েছেন তিনি।