Web Series

Debasish-Swastika: বুদ্ধি না পেশির জোরে কমলেশ্বরকে কাত করবেন ‘মন্দার’ দেবাশিস-স্বস্তিকা-অঙ্কিত?

কেন পুলিশি আবহে দাবার আবির্ভাব? পরিচালকের যুক্তি, দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ বুঝিয়ে দিয়েছে যে ছোটরাও অনেক কিছু করতে পারে।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২২ মার্চ ২০২২ ১৬:৪২
স্বস্তিকা দত্ত,  দেবাশিস মণ্ডল এবং কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

স্বস্তিকা দত্ত, দেবাশিস মণ্ডল এবং কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়।

ফের জোরালো প্রত্যাবর্তন স্বস্তিকা দত্তের। চলতি মাসের শেষে শ্যুট শুরু করছেন তাঁর তৃতীয় সিরিজ ‘জনি অ্যান্ড বনি’র। পরিচালক অভিজিৎ চৌধুরীর নতুন সিরিজ আসছে ক্লিক প্ল্যাটফর্মে। সেখানেই স্বস্তিকা জুটি বাঁধতে চলেছেন ‘মন্দার’ সিরিজের নায়ক দেবাশিস মণ্ডলের সঙ্গে। আনন্দবাজার অনলাইনকে পরিচালক জানিয়েছেন, তাঁর সিরিজেই প্রথম মগজাস্ত্র এবং পেশিশক্তির সহাবস্থান দেখানো হবে।

কী ভাবে বুদ্ধি আর পেশি সমান্তরাল ভাবে সিরিজে জায়গা করে নেবে? অভিজিতের কথায়, ‘‘দেবাশিস ওরফে জনার্দন বা জনি পেশায় পুলিশ অফিসার। কিন্তু অফিসে রাজনৈতিক চক্রান্তের শিকার। সে মগজ এবং পেশিশক্তি দিয়ে বড় বড় রহস্য ভেদ করতে চায়। কিন্তু সুযোগ পায় না। এ দিকে তার বাড়িতে অবাধ যাতায়াত ১৩ বছরের বনির। যে দাবা খেলায় পটু।’’ জনির পাশে এই বনি এসে দাঁড়াবে তার ধারালো মগজাস্ত্র নিয়ে। সম্পর্কে বনির মেসো জনি। আর সাহায্য করবে জনির স্ত্রী আঁখি, যে মডেলিং দুনিয়ায় স্বল্প পরিচিত। অফিস, ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ জনির পাশে না থাকুক, তিন মাথা এক হলেই সব রহস্য জলবৎ তরলং! ‘আঁখি’র চরিত্রে অভিনয় করবেন স্বস্তিকা। চরিত্রের খাতিরে ঘরোয়া লুকের পাশাপাশি তাঁর গ্ল্যামারাস লুকও থাকবে।

Advertisement

এ ছাড়াও, সিরিজে দেখা যাবে কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়, পুষ্পিতা মুখোপাধ্যায় এবং ‘বনি’ ওরফে অঙ্কিত মজুমদারকে। পরিচালক কমলেশ্বর সিরিজে দুঁদে রাজনীতিবিদ। তাঁর সঙ্গেই যেন মগজাস্ত্রের অদৃশ্য যুদ্ধে রত হতে বা দাবা খেলতে দেখা যাবে বাকি তিন জনকে। কমলেশ্বর বাম দলের রাজনীতিবিদ না শাসকদলের? প্রশ্ন শুনেই হাসি অভিজিতের। দাবি, কোনও দল উল্লেখ করা হবে না সে ভাবে। চরিত্র অনুযায়ী পরিচালক-অভিনেতা ভদ্র, অমায়িক কিন্তু ক্ষুরধার বুদ্ধিমান। ‘মন্দার’-এ তাঁর অভিনয় দেখেই পরিচালকের মনে হয়েছে, ‘রাফ অ্যান্ড টাফ’ পুলিশ অফিসার হিসেবে দেবাশিসই মানানসই। ছবির শীর্ষ সঙ্গীতের দায়িত্বে থাকছেন আকিব।

কেন পুলিশি আবহে দাবার আবির্ভাব? পরিচালকের যুক্তি একাধিক। এক, ১৭ বছরের দাবাড়ু রমেশবাবু প্রজ্ঞানন্দ দাবা খেলায় বিশ্বনাথন আনন্দকে হারিয়ে তাঁর চোখ খুলে দিয়েছে। তিনি বুঝেছেন, চাইলে ছোটরাও অনেক কিছু করতে পারে। সেই দিকটি তিনি সিরিজের মাধ্যমে তুলে ধরতে চলেছেন। দুই, প্রশাসন এবং দাবা খেলোয়াড় উভয়েই কিছু নিয়ম মেনে চলেন। তাই এই দুইয়ের মধ্যে কোথাও সাযুজ্য রয়েছে। তিন, সব সময় পেশিশক্তি জেতে না। ধারালো মগজাস্ত্র যে কোনও পরিস্থিতিতে জিতে বেরিয়ে আসতে পারে। এই সিরিজ সে কথা বলবে। চার, প্রশাসনের অন্ধকার দিকটিও এই সুযোগে তুলে ধরবেন তিনি। স্বস্তিকা প্রচণ্ড খুশি এই সিরিজে সুযোগ পেয়ে। আনন্দবাজার অনলাইনকে বলেছেন, ‘‘দেবাশিস মণ্ডলের বিপরীতে কাজ করা মানে নিজেকে ঘষেমেজে আরও তৈরি করার সুযোগ পাওয়া। আমি ভাগ্যবান, সেই সুযোগ পাচ্ছি। আশা, নিজেকে প্রমাণ করতে পারব।’’

সিরিজের শ্যুট হবে কলকাতার ১৮টি অঞ্চলে। প্রশাসনের দিক দেখাতে লালবাজারে শ্যুটিং হবে? পরিচালকের বক্তব্য, বেশির ভাগ শ্যুট হবে দমদম এলাকায়। অঞ্চলটি বারাসত প্রশাসনের অন্তর্গত। তাই লালবাজারের বদলে বারাসত প্রশাসনের খুঁটিনাটি ক্যামেরাবন্দি হবে। থাকবে রাতের দৃশ্যও। সিরিজে প্রচুর অ্যাকশন দৃশ্যে অভিনয় করতে দেখা যাবে দেবাশিসকে। তবে সরাসরি অ্যাকশনে অংশ নেবেন না আঁখি, বনি বা কমলেশ্বর মুখোপাধ্যায়। আগামী দিনে সিরিজের সিক্যুয়েলেরও ইচ্ছে আছে অভিজিতের।

আরও পড়ুন
Advertisement