মঙ্গলবার সকালে কলকাতা বিমানবন্দরে সলমন খান এবং বাবুল সুপ্রিয়। —নিজস্ব চিত্র।
অপেক্ষার অবসান। ৫ ডিসেম্বর মঙ্গলবার থেকে শুরু হচ্ছে ২৯তম কলকাতা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসব। শেষ মুহূর্তের প্রস্তুতি তাই তুঙ্গে। মঙ্গলবার বিকাল ৪টে থেকে নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে শুরু হবে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ছাড়াও উপস্থিত থাকবেন বলিউড এবং টলিউডের বিশিষ্টরা।
উৎসবের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে যোগ দিতে মঙ্গলবার সকালেই শহরে এসে গিয়েছেন সলমন খান। কলকাতা বিমানবন্দরে ভাইজানকে স্বাগত জানাতে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী বাবুল সুপ্রিয়। সলমনকে নিয়ে তাঁকে বিমানবন্দর থেকে বেরিয়ে আসতে দেখা যায়। অভিনেতার পরনে ছিল কালো পুরো হাতা টি-শার্ট এবং নীল জিন্স। সামনে অপেক্ষারত অনুরাগীদের নিরাশ করেননি সলমন। গাড়িতে ওঠার আগে তাঁদের উদ্দেশে হাত নেড়ে নমস্কার করেন বলিউড সুপারস্টার। অন্য দিকে, সোমবার সন্ধ্যায় শহরে এসে পৌঁছেছেন অভিনেতা অনিল কপূর। তাঁকে স্বাগত জানাতে বিমানবন্দরে হাজির ছিলেন রাজ্যের মন্ত্রী সুজিত বসু। বেলা যত গড়াচ্ছে, সেই মতো অতিথিরা একে একে শহরে এসে পৌঁছবেন বলে খবর। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন কমল হাসন, অনিল কপূর, মহেশ ভট্ট, শত্রুঘ্ন সিন্হা, সোনাক্ষী সিন্হা। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রীর লেখা ও সুর করা গানের সঙ্গে সমবেত নৃত্য পরিবেশন করবেন ডোনা গঙ্গোপাধ্যায় এবং ‘দীক্ষামঞ্জরী’-র ছাত্রছাত্রীরা।
সোমবার উৎসবের প্রাণকেন্দ্র নন্দন চত্বরে ছিল শেষ মুহূর্তের ব্যস্ততা। বিভিন্ন জায়গায় ‘সেলফি জ়োন’ তৈরি করা হয়েছে। এই বছর উৎসবের প্রচারের জন্য বেশ কয়েকটি পোস্টার তৈরি করা হয়েছে যা ইতিমধ্যেই সিনেপ্রেমীদের দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে। নন্দন চত্বরও এই বিশেষ পোস্টারগুলো দিয়ে সাজানো হয়েছে। প্রত্যেক বছর একতারা মঞ্চে বসে উৎসবের ‘সিনে আড্ডা’। এই বছর মঞ্চের সজ্জায় ব্যবহার করা হয়েছে রকমারি হাতপাখা এবং পটচিত্র। নন্দনের প্রবেশ পথে নিয়ম করে তৈরি হয়েছে ‘আড্ডা জ়োন’। বিভিন্ন খাবারের স্টল এবং ইনস্টলেশনের কাজও প্রায় শেষের দিকে। বুধবার থেকে শহরের ২৩টি প্রেক্ষাগৃহে শুরু হয়ে যাবে ছবির প্রদর্শন। আগামী সাত দিন আপাতত সিনেমার আমেজে ডুবে থাকবে শহর কলকাতা।