আগামী ৩১ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে ‘গ্যাসলাইট’। সেখানেই সারার সৎমার চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রাঙ্গদা। — ফাইল চিত্র।
সারা আলি খানের সৎমায়ের ভূমিকায় অভিনয় করতে চলেছেন চিত্রাঙ্গদা সিংহ। এমনিতেই তিনি জনপ্রিয় মুখ। হঠাৎ বয়সে অল্প ছোট এক জন অভিনেত্রীর মায়ের চরিত্রে কেন রাজি হলেন তিনি? বিষয়টি খোলসা করলেন চিত্রাঙ্গদা।
২০১১ সালে ‘ইয়ে সালি জ়িন্দেগি’ ছবি দিয়ে বলিউডে কেরিয়ার শুরু করেন। ক্রাইম থ্রিলার ‘বব বিশ্বাস’-এ ওটিটিতে আত্মপ্রকাশ করেন ২০২১ সালে। তবে বয়স্ক মহিলার চরিত্রেই তাঁকে বরাবর ভাবা হয়েছে। দুই বাচ্চার মা থেকে শুরু করে মধ্যবয়সি গৃহবধূ, সব ধরনের চরিত্রই করেছেন। ২০২২ সালে ‘মডার্ন লভ মুম্বই’ নামক একটি কোলাজ-ছবিতে ‘কাটিং চা’-এ নজর কেড়েছিলেন চিত্রাঙ্গদা। তার পর আবার তাঁকে দেখা যাবে খুন-রহস্য ভরা ‘গ্যাসলাইট’ ছবিতে।
আগামী ৩১ মার্চ মুক্তি পাচ্ছে ‘গ্যাসলাইট’। সেখানেই সারার সৎমার চরিত্রে অভিনয় করছেন চিত্রাঙ্গদা।
প্রথম সারির কোনও অভিনেত্রী বয়সে সামান্য ছোট কারও মায়ের চরিত্রে অভিনয় করছেন, এমন ঘটনা বাড়তি নজর টেনে নেয়। তবে, চিত্রাঙ্গদা এই প্রথম মায়ের চরিত্র করছেন না পর্দায়। অভিনয়ের কেরিয়ারের গোড়ার দিকেই বয়স্ক চরিত্রের জন্য অডিশন দিয়েছিলেন অভিনেত্রী।
চিত্রাঙ্গদা বললেন, “আমি ‘নেমসেক’ (২০০৬) ছবির জন্য অডিশন দিয়েছিলাম। ২৪ বছর বয়সি এক জনের মায়ের চরিত্র করতে গেলে যা যা করতে হয়, সব করেছিলাম। কিন্তু শেষ অবধি সেগুলো কাজে আসেনি। আমি খুবই আগ্রহী ছিলাম চরিত্রটা করতে।”
ইরফান খানের বিপরীতে শেষমেশ সেই চরিত্রটি করেন তব্বু। চিত্রাঙ্গদা বলেন, “পরিচালক মীরা নায়ার আমাকে নিউ ইয়র্ক থেকে ফোন করেন। বোঝান, আমি খারাপ অভিনেত্রী বলে বা অডিশন খারাপ দিয়েছি বলে নির্বাচিত হইনি, তা নয়। আসলে আমাকে ২৩-২৪ বছরের সন্তানের মায়ের মতো দেখাচ্ছে না।”
‘গ্যাসলাইট’-এ সারার মায়ের চরিত্র করা প্রসঙ্গেও অকপট তিনি। ছেচল্লিশ বছর বয়সি অভিনেত্রী বলেন, “মায়ের চরিত্রে অভিনয় করলে অভিনেত্রীর কেরিয়ার শেষ হয়ে যাবে, এমনটা ভাবা হত এক সময়। আমি এই চরিত্রটা করতে চেয়েছি, কারণ চরিত্রটাই দুর্দান্ত। এখানে সারার মা বা ‘বব বিশ্বাস’- এ দুই সন্তানের মায়ের চরিত্র করা বড় কথা নয়। সেই সময়টা চলে গিয়েছে, যখন এগুলো তফাত গড়ে দিত। এখন আমরা এগুলোর ঊর্ধ্বে।”
সারার সঙ্গে এই প্রথম কাজ করলেও সারার বাবা অভিনেতা সইফ আলি খানের সঙ্গে আগেই কাজ করেছেন চিত্রাঙ্গদা। তিনি জানান, সারার সঙ্গে তো হাসিঠাট্টার সম্পর্ক। তবে সইফের সঙ্গে কাজ করতেও ভাল লাগত। চিত্রাঙ্গদার কথায়, “ওর শট দেওয়া দেখলে মনে হত, কত অনায়াসে শট দিচ্ছে, কিন্তু তার মধ্যেও ভাবনার ছাপ থাকত। ওর সঙ্গে কাজ করার দিনগুলো খুবই উপভোগ করেছি।”
সারার সঙ্গে চিত্রাঙ্গদার রসায়ন কেমন জমে, এখন সেটিই দেখার অপেক্ষা।