পুত্রের সঙ্গে ছবি মিত্তল। ছবি: সংগৃহীত।
ক্যানসারকে হারিয়ে দিয়েছেন মনের জোরেই। এই মারণরোগের বিরুদ্ধে সচেতনতা বাড়ানোর লক্ষ্যেও সোচ্চার অভিনেত্রী ছবি মিত্তল। গত ৪ জুন জাতীয় ক্যানসারজয়ী দিবসে তিনি ইনস্টাগ্রামে একটি ভিডিয়ো পোস্ট করেছিলেন। ক্যানসারের বিরুদ্ধে সচেতনতার বার্তা ছিল সেখানে। ক্যানসার সচেতনতা নিয়ে, এবং এই রোগের সঙ্গে লড়াইয়ে নিজের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে যখন বলতে আরম্ভ করলেন তিনি, সেটা ‘বেশি বাড়াবাড়ি’ বলে মনে হল কারও কারও। নেটদুনিয়ায় কটাক্ষের শিকার হলেন ছবি।
বিদ্রুপবাণে আহত অভিনেত্রী পাল্টা বলেন, “আমি জানি না, কতটা হলে বাড়াবাড়ি বলব, কতটা হলে কম বলব। আমি ক্যানসার নিয়ে কথা বললে যাদের এত সমস্যা, তাদের কী বলব সত্যিই জানি না।”
গত বছর এপ্রিলে ক্যানসার ধরা পড়েছিল অভিনেত্রীর। হার মানেননি, সেরে ওঠেন তিনি। ছবির বক্তব্য, “আমি যখন শুরুতে ক্যানসার নিয়ে কথা বলতাম, সবাই বলত, সচেতনতা ছড়িয়ে দেওয়ার এই উদ্যোগ খুব ভাল। কিন্তু এখন, যে হেতু আমি তাড়াতাড়ি সেরে উঠেছি, সবাই ভাবে, আমি বোধহয় বিষয়টার গুরুত্ব বুঝতে পারছি না।”
ছবির দাবি, এমন চিন্তাভাবনা খুবই অন্যায্য। ক্যানসারের মধ্যে দিয়ে গিয়েই তিনি লড়াইয়ের শক্তি সঞ্চয় করেছেন। ৪২ বছরের অভিনেত্রী জানান, চিকিৎসা চলাকালীন বিষাদগ্রস্ত হয়ে পড়েননি তিনি, সুস্থ হয়ে ওঠার এই প্রক্রিয়াটা রোজের জীবনের অঙ্গই হয়ে গিয়েছিল।
ছবির কথায়, “ক্যানসারের বিরুদ্ধে যাঁরা লড়েন, তাঁরা কী অবস্থার মধ্যে দিয়ে যান, সকলে বুঝতে পারবেন না। ক্যানসার হওয়া মানেই জীবন শেষ নয়। তাই এ সব নিয়ে সমাজমাধ্যমে কথা বলতে আমার কোনও কুণ্ঠা নেই।”
তাঁর সাফ কথা, “এক জন মা তাঁর মাতৃত্ব নিয়ে কথা বলতে পারেন, ফিটনেস প্রশিক্ষক তাঁর বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে পারেন, ক্যানসার নিয়ে বলতে গেলেই যত সমস্যা?”
তাঁর মনে হয়, যাঁরা নিজেরা অসুখী, তাঁরাই অন্যের জীবনে ঝামেলা পাকায়। নেটদুনিয়াতেও গর্তে লুকিয়ে থেকে অনিষ্ট করতে চাওয়া মানুষদের টেনে বার করে আনতে চান ছবি।