চঞ্চল চৌধুরী। ছবি: ফেসবুক।
বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কমবেশি প্রায় প্রত্যেক ঢালিউড অভিনেতাই মুখ খুলেছেন। কখনও তাঁরা দেশের শাসনব্যবস্থা নিয়ে সমাজমাধ্যমে বক্তব্য রেখেছেন, কখনও হিংসা ভুলে দেশে শান্তির পরিবেশ ফিরিয়ে আনার আর্জি জানিয়েছেন। তবে নীরব ছিলেন চঞ্চল চৌধুরী। কিন্তু তাতেও অভিনেতা রেহাই পেলেন কি? সমাজমাধ্যমে সে কথা জানিয়ে শুক্রবার একটি বিবৃতি লিখেছেন তিনি। জানিয়েছেন, মুখ না খুলেও তাঁর রেহাই মেলেনি। তাঁর মুখে কথা বসিয়ে নানা জায়গায় ভুয়ো বিবৃতি প্রকাশ করা হচ্ছে। সেই বিবৃতির সঙ্গে তাঁর কোনও যোগাযোগ নেই।
বাংলাদেশের অস্থির সময়ে নিজের দেশ নিয়ে কলম ধরার জন্য তাঁকে অনুরোধ জানিয়েছিল একাধিক সংবাদমাধ্যম। সেই অনুরোধ সবিনয়ে প্রত্যাখ্যান করেন তিনি। জানান, বিষয়গুলি অত্যন্ত স্পর্শকাতর এবং রাজনৈতিক। তিনি এ সব নিয়ে কথা বলতে আগ্রহী নন। একই সুর তাঁর এ দিনের বক্তব্যেও। তিনি লিখেছেন, “আমি চঞ্চল চৌধুরী বলছি। আমার নাম ব্যবহার করে কোনও বিদেশি অথবা দেশি পত্র-পত্রিকা বা সমাজমাধ্যমে সাম্প্রতিক পরিস্থিতি সম্পর্কে যদি কিছু লেখা হয়, তার দায় আমার নয়। কারণ, এখনও পর্যন্ত আমি কোনও পত্র-পত্রিকা বা সমাজমাধ্যমে এই বিষয়ে কোনও বক্তব্য রাখিনি।”
নিজেকে একজন সাধারণ শিল্পী হিসেবে পরিচয় দেওয়ার পাশাপাশি চঞ্চল আরও জানিয়েছেন, তাঁর মা খুবই অসুস্থ। ফলে, সমাজমাধ্যমে ইদানীং সে ভাবে সক্রিয় নন তিনি। সরাসরি কোনও মন্তব্য না করলেও, শান্তির বার্তা দিয়েছেন তিনি। “দেশে শান্তি বিরাজ করুক। সকলের মঙ্গল হোক”, নিজের অবস্থান স্পষ্ট করার পাশাপাশি এ কথাও লিখেছেন পর্দার ‘মৃণাল সেন’।