সুশান্ত সিংহ রাজপুত। —ফাইল চিত্র।
আত্মহত্যাই করেছিলেন সুশান্ত সিংহ রাজপুত। জানিয়ে দিল সিবিআই। পাঁচ বছর কেটে গিয়েছে সুশান্তের মৃত্যুর। কিন্তু ধোঁয়াশা ছিল অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে। শনিবার মুম্বই আদালতকে সিবিআই এই মামলার অন্তিম রিপোর্ট জমা দিল।
২০২০-র ১৪ জুন বান্দ্রার ফ্ল্যাট থেকে উদ্ধার হয়েছিল সুশান্তের দেহ। অভিনেতার মৃত্যু নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি। প্রশ্ন ছিল, খুন না কি আত্মহত্যা? সেই প্রশ্নের উত্তরই খোলসা করে দিল সিবিআই। প্রাথমিকভাবে, মামলাটি আত্মহত্যা বলেই জানানো হয়েছিল। অন্তিম রিপোর্টেও সিবিআই নিশ্চিত করল, আত্মহত্যাই করেছিলেন অভিনেতা। তদন্তে অন্য কোনও দিক উঠে আসেনি।
সুশান্তের মত্যুর ঠিক সাত দিন আগেই মৃত্যু হয়েছিল অভিনেতার আপ্তসহায়ক দিশা সালিয়ানের। মেয়ের মৃত্যুর রহস্য উদ্ঘাটন করতে সম্প্রতি নতুন করে তদন্ত চেয়ে বম্বে হাইকোর্টে পিটিশন দায়ের করেছেন দিশার বাবা। সতীশের নিশানায় রয়েছেন শিবসেনা নেতা আদিত্য ঠাকরে। অন্য দিকে, সুশান্তের তুতো ভাই নীরজ কুমার সিংহ বাবলুও নতুন করে তদন্তের দাবি করেছিলেন।
সংবাদমাধ্যমের কাছে সুশান্তের ভাই বলেছেন, “ঠাকরে সরকার চেয়েছিল ঘটনা গোপন করতে। তাদের উদ্দেশ্যই ছিল তদন্ত বন্ধ করিয়ে দেওয়া। সুশান্তের মৃত্যুর সঙ্গে দিশার মৃত্যুর যোগ রয়েছে। ১২ তলা থেকে একটা মানুষ পড়ে গেলে তাঁর মৃতদেহের পাশে রক্ত থাকবে। কিন্তু দিশার দেহের পাশের রক্তের ছিঁটেফোটা ছিল না। এর অর্থ আগেই ওঁকে খুন করা হয়েছিল।” কিন্তু এর মধ্যেই তদন্তে ইতি টানার সিদ্ধান্ত জানিয়ে দিয়েছে সিবিআই।