কলকাতায় ‘রক সম্রাট’ ব্রায়ান অ্যাডাম্স। ছবি— অভিনন্দন দত্ত।
‘‘কাল সকালে অফিসে যাওয়ার তাড়া নেই তো?’’ রবিবার রাতে এই কথা বলেই মঞ্চে উঠলেন ব্রায়ান অ্যাডামস্। কিন্তু অফিস থাকলেই বা কী, কলকাতাবাসী তত ক্ষণে ভুলে গিয়েছে সে সব ঝকমারি। কত দূর থেকে তো এসেছেন প্রাণের গায়ক। পরনে তাঁর সাদা পোশাক, যেন আলো জ্বেলে রেখেছে। গান ধরলেন, ‘‘প্লিজ ফরগিভ মি, ক্যান্ট স্টপ লাভিং ইউ...’’ (আমাকে ক্ষমা করো, তোমাকে না ভালবেসে থাকতে পারি না)।
শনিবার রাতেই কলকাতায় নেমেছেন ব্রায়ান অ্যাডাম্স ও তাঁর দলবল। ভারতের পাঁচটি শহরে পাঁচটি সঙ্গীতানুষ্ঠান করবেন তাঁরা। প্রথম বার কলকাতায়। আবেগের জ্বরে কেঁপেছে শহর। এর আগেও অনেক বার ভারতের মাটিতে গান গেয়ে গিয়েছেন ব্রায়ান। কিন্তু কখনও কলকাতা ছুঁয়ে দেখেননি। এ বার কলকাতা তাঁকে দেখিয়ে দিল ভালবাসার মাটি কতখানি সুখ দিতে পারে।
সম্প্রতি বিশ্ব সফর শুরু করেছেন কানাডিয়ান গায়ক। ৬৫ বছরের গায়ক জানান দিতে চান, ‘সো হ্যাপি ইট হার্টস’, অর্থাৎ, ‘সুখ এমনই যে ব্যথা বাজে’। বাঙালি জানে এর অর্থ, ‘এমনও হাসি আছে, বেদনা মনে হয়, সুখেও কেঁদে ওঠে মন!’ তাই ব্রায়ানের জন্য যে অপেক্ষা করে রয়েছে উষ্ণ অভ্যর্থনা, তা বোঝাই গিয়েছিল।
গত কয়েক দিনে টিকিটের জন্য হাহাকার। রবিবার বিকেল থেকে কলকাতার গন্তব্য অ্যাকোয়াটিকা। এমনিতেই বিধাননগরের সেক্টর ফাইভ যানজটে নাকাল। এ দিন বিকেল থেকেই গাড়ির গতি ক্রমশ কমেছে।
ব্রায়ানও কলকাতাকে ভরিয়ে দিলেন ভালবাসায়। বললেন, ‘‘দূর থেকে এসেছি, ধকল কাটিয়ে উঠতে পারিনি। কেমন আছ কলকাতা? কাল অফিসের তাড়া নেই তো?’’ বোঝাই গেল, রবিবারের রাত মাতিয়ে রাখবেন তিনি।পাশাপাশি বললেন,‘‘কলকাতায় কম আসা হয়, বার বার ফিরে আসতে চাই এই শহরে।’’
এ দিনই ভারতে অ্যাডামসের সুরেলা সফর শুরু হল। এর পর একে একে তিনি গান গাইবেন, গুরুগ্রাম, মুম্বই, বেঙ্গালুরু এবং হায়দরাবাদে। এ দেশে তাঁর সফর শেষ হচ্ছে ১৬ ডিসেম্বর।