শ্রীময়ী চট্টরাজ। —নিজস্ব চিত্র।
সাত পাকে বাঁধা পড়তে চলেছেন অভিনেতা কাঞ্চন মল্লিক এবং শ্রীময়ী চট্টরাজ। আগামী ৬ মার্চ নতুন জীবন শুরু করবেন কাঞ্চন-শ্রীময়ী। ১৪ ফেব্রুয়ারি ভ্যালেন্টাইন্স ডে-র দিনে আইনি বিয়ে সেরেছিলেন দুজনে। সে দিন আংটিবদলও হয়। সামাজিক ভাবে এ বার গাঁটছড়া বাঁধার পালা। বিয়ের রবিবার। তবে বিয়ের আগের অনুষ্ঠানগুলি শুরু হয়ে গিয়েছে এখন থেকেই। বৃহস্পতিবার ছিল শ্রীময়ীর সঙ্গীত আর মেহন্দির অনুষ্ঠান। শুক্রবার আইবুড়োভাত খেলেন শ্রীময়ী। শ্রীময়ীর উত্তর কলকাতার বাড়িতেই বিয়ের আগের অনষ্ঠানগুলি হচ্ছে। বাঙালি রীতি অনুযায়ী সাধারণত বিয়ের আগের দিন আইবুড়োভাত হয়। কিন্তু এ ক্ষেত্রে নিয়মে খানিকটা বদল কেন? সদ্য আইবুড়োভাত খেয়ে উঠে আনন্দবাজার অনলাইনকে হবু কনে শ্রীময়ী বলেন, ‘‘আসলে আমাদের ব্যস্ততার কারণেই এই অনুষ্ঠানগুলি আগে সেরে নিতে হচ্ছে। শুটিং আছে। বিয়ের আগের দিন হয়তো ছুটি পাব না। সেই কারণেই সুবিধামতো সব করতে হচ্ছে।’’
মেহন্দিতে লেহরিয়ার কাজ করা কমলা রঙের একটি লেহঙ্গা পরেছিলেন শ্রীময়ী। দুহাত ভর্তি মেহন্দি। সেখানে খুঁজলে চোখে পড়বে কাঞ্চনের নামের আদ্যক্ষর ‘কে’। অন্য দিকে কাঞ্চনও হাতে মেহন্দি দিয়ে লিখেছেন ‘শ্রী’। মেহন্দিতে লেহঙ্গা পরলেও মায়ের কাছে আইবুড়োভাতের অনুষ্ঠানে কিন্তু একেবারে ঘরোয়া সাজে শ্রীময়ী। গাঢ় গোলাপি রঙের সিল্কের শাড়ি, কাঞ্চনের দেওয়া সোনার গয়না আর খোঁপায় আকন্দ ফুলের মালা— হবু কনের সাজে সাবেকি ছোঁয়া। আইবুড়োভাতে কি সব পছন্দের পদ ছিল? শ্রীময়ী বলেন, ‘‘একদম। পাঁচ রকম ভাজা, শাক, মাছের মুড়ো ভাজা, ডাল, শুক্তো, পটল আলুর দম, পাবদা মাছ, চাটনি, দই, মিষ্টি। এগুলিই ছিল আইবুড়োভাতে। আমি বাঙালি খাবার খেতে পছন্দ করি। আমাদের বিয়ের মেনুতেও বাঙালি খাবার থাকছে সব।’’
দু’জনেই নিজেদের কাজ নিয়ে বেশ ব্যস্ত। দেখতে দেখতে বিয়ের দিনও চলে এসেছে। বিয়ের কাজে হবু স্ত্রীকে কতটা সাহায্য করছেন উত্তরপাড়ার বিধায়ক? শ্রীময়ী বলেন, ‘‘এত বড় কাজ তো একা একা সামলানো যায় না। সবাই মিলেই সব করছি। বিয়ের কাজ তো কম নয়। কাঞ্চনও ওঁর মতো করে দায়িত্ব সামলাচ্ছে। তবে আমার আত্মীয়স্বজন চলে এসেছেন। মাসি, মামা, মামি, পিসিরা সবাই মিলেই তত্ত্ব সাজাচ্ছে। বিয়ের অন্য কাজ করছে। আমার বাড়ি এখন পুরো জমজমাট।’’