ভিডিয়োতে কী বার্তা দিলেন বিবেক? ফাইল চিত্র।
‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ ছবিতে একটি দৃশ্যেও যদি ভুল তথ্য প্রদর্শন করা হয়ে থাকে, তা প্রমাণ করুন বিদ্বজ্জনেররা— এ বার খোলাখুলি চ্যালেঞ্জ ছুড়লেন পরিচালক বিবেক অগ্নিহোত্রী। সাফ জানালেন, যদি কেউ ভুল ধরতে পারেন এবং প্রমাণ দিতে পারেন, ছবি বানানো ছেড়ে দেবেন তিনি।
বছর শেষে গোয়া আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে তৈরি হওয়া বিতর্ক ক্রমেই গুরুতর আকার নিচ্ছে।যার জেরে দেশ জুড়ে অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতি। পুরস্কারের জন্য মনোনীত, কিংবা প্রদর্শিত হতে আসা ছবিগুলির শিল্পগুণ নিয়ে কথা বলতে গিয়ে প্রকাশ্য মঞ্চে ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’-এর তীব্র সমালোচনা করেছেন আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন ইজ়রায়েলি পরিচালক নাদাভ ল্যাপিড। জুরি বোর্ডের চেয়ারম্যান ছিলেন তিনিই। বিবেক পরিচালিত ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’কে সর্বসমক্ষে ‘অশ্লীল’ ও ‘প্রচারধর্মী’ বলে মন্তব্য করে জনরোষের শিকার হয়েছেন তিনি। তাঁর বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন অনুপম খের-সহ অনেক বলি তারকাও। সেই পরিস্থিতিতে নিজেই ফের মুখ খুললেন পরিচালক।
Terror supporters and Genocide deniers can never silence me.
— Vivek Ranjan Agnihotri (@vivekagnihotri) November 29, 2022
Jai Hind. #TheKashmirFiles #ATrueStory pic.twitter.com/jMYyyenflc
সমাজমাধ্যমে ভিডিয়ো পোস্ট করে প্রকাশ্যে এলেন বিবেক। তাঁর দাবি, “এই ঘটনা নতুন নয়। ভারত থেকে কাশ্মীরকে আলাদা করতে চাওয়া লোকেদের সন্ত্রাসবাদী বলে আমি খারাপ হতে পারি। কিন্তু এতে সত্যিটা বদলে যেতে পারে না।” বিবেক চ্যালেঞ্জ ছুড়ে বলেন, “দেশের বিরুদ্ধে দাঁড়াতে চাওয়া মানুষরা কারা? আমি জানি না। বুদ্ধিজীবীদের বলছি, যদি কেউ ভুল ধরতে পারেন এবং প্রমাণ দিতে পারেন, ছবি বানানো ছেড়ে দেব।”
মাস কয়েক আগেও ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’ ঘিরে উত্তাল ছিল গোটা দেশ। যদিও ভারত সরকারের কাছ থেকে প্রশংসিত হয়েছিল ছবিটি। সোমবার, গোয়া চলচ্চিত্র উৎসবের শেষ দিনে জুরি বোর্ডের শীর্ষে থাকা ইজ়রায়েলি পরিচালকের এই মন্তব্য রীতিমতো অস্বস্তিতে ফেলেছে নরেন্দ্র মোদী সরকারকে। নাদাভের এ হেন মন্তব্যের পর ড্যামেজ কন্ট্রোল করতে নেমেছে ইফি-র জুরি বোর্ড। তারা সাফ জানিয়ে দিয়েছে, ‘‘সবটাই পরিচালকের ব্যক্তিগত মতামত।’’
বিবেক অগ্নিহোত্রী আগে টুইট করে লেখেন, ‘‘সত্যি আসলে ভয়ঙ্কর জিনিস, সত্যি মানুষকে মিথ্যে বলতে বাধ্য করে।’’
২০২২ সালের ১১ মার্চ মুক্তি পেয়েছিল ‘দ্য কাশ্মীর ফাইলস্’। কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উচ্ছেদ করে হত্যার চক্রান্তের ঘটনা নিয়ে আবর্তিত হয়েছিল এই ছবিটি। পাকিস্তান অনুমোদনপ্রাপ্ত সন্ত্রাসবাদীরাই ছিল নিশানায়। যে রাজনৈতিক প্রেক্ষাপট নিয়ে শুরু থেকেই বিতর্কে বিবেকের ছবি।