রেখা। —ফাইল চিত্র।
আর দু’বছর গেলেই তিনি পা দেবেন ৭০-এ। আশির দশকে তাঁর কেরিয়ারের সেরা সময় কেটেছে। তার পর ছবির সংখ্যা কমে গেলেও এখনও তাঁর সৌন্দর্যে মুগ্ধ দর্শক। তিনি ‘চিরসবুজ’ রেখা। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে বিতর্কও কম হয়নি। বিশেষত অভিনেতা অমিতাভ বচ্চনের সঙ্গে তাঁর সম্পর্ককে ঘিরে হয়েছিল বিপুল সমালোচনা। সে সময় অনেকেই মনে করেছিলেন, নায়িকার সঙ্গে গভীর কোনও সম্পর্কে জড়িয়েছেন অমিতাভ। নায়কের তরফে এ প্রসঙ্গে কোনও জবাব না পাওয়া গেলেও পরবর্তীকালে বিভিন্ন সাক্ষাৎকারে রেখা স্বীকার করেছিলেন, তাঁর অমিতাভের প্রতি দুর্বলতার কথা। সম্প্রতি আরও এক খবরে চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে অভিনেত্রী। লেখক ইয়াসের উসমানের লেখা ‘রেখা দ্য আনটোল্ড স্টোরি’ বইটিতে উঠে এসেছে নায়িকার জীবনের বেশ কিছু গোপন তথ্য।
লেখকের দাবি, বহু বছর ধরে রেখা তাঁর ব্যক্তিগত সহকারী ফারজ়ানার সঙ্গে সম্পর্কে রয়েছেন। এই ফারজ়ানা বহু বছর ধরে রয়েছেন অভিনেত্রীর সঙ্গে। প্রতি মুহূর্তে তাঁকে রেখার পাশে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা যায়। এক কথায় বলা যেতে পারে ফারজ়ানা হলেন রেখার ছায়াসঙ্গী। অভিনেত্রী বার বার তাঁর সহকারীকে নিজের বোনই বলে এসেছেন। তবে এই বই প্রকাশ হওয়ার পর অবাক অনেকেই। বইতে লেখা রয়েছে, রেখার শোয়ার ঘরে ফারজ়ানা ছাড়া আর কারও ঢোকার অনুমতি নেই। ফারজ়ানার অনুমতি ছাড়া রেখার আশেপাশে কেউ-ই ঘেঁষতে পারে না। অভিনেত্রীর বাড়ির খুঁটিনাটি থেকে তাঁর পেশাদার জীবনের প্রতিটি সিদ্ধান্ত নেন ফারজ়ানাই। রেখার জীবনীতে লেখক লিখেছেন, কয়েক দশক ধরে ব্যক্তিগত সহকারীর সঙ্গেই সম্পর্কে রয়েছেন রেখা। শারীরিক এবং মানসিক দু’দিক থেকেই রেখা ফারজ়ানার উপর নির্ভরশীল। তাঁদের সম্পর্কে ফারজ়ানার ছেলের ভূমিকা পালন করেন।
লেখিকা মালবিকা সাংহাই তাঁর বইতে লিখেছেন, রেখার জীবন ফারজ়ানা ছা়ড়া অচল। অভিনেত্রীর স্বামী মুকেশ অগরওয়াল নাকি নায়িকের এই সম্পর্কের জন্যই আত্মহত্যা করেন। এই সব তথ্য প্রকাশ্যে আসার পর অবাক সবাই। তবে এ প্রসঙ্গে এখনও পর্যন্ত রেখার তরফে আসেনি কোনও মন্তব্য।