বিশ্বনাথ বসু। —ফাইল চিত্র।
টলিপাড়ার জনপ্রিয় অভিনেতা বিশ্বনাথ বসু। সিনেমা থেকে টেলিভিশন কিংবা অনুষ্ঠান সঞ্চালনা, সব ক'টি মাধ্যমেই অবাধ যাতায়াত তাঁর। এ বার তাঁর পুত্রকে এক ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতার সাক্ষী হতে হল শহর কলকাতায়। তাও আবার নিজের বাড়ির কাছে। প্রতিবেশীর হুকুম, প্রস্রাব চেটে পরিষ্কার করতে হবে। অভিনেতার ছেলে হিমায়ান বসু। বয়স ৮ বছর। মাঠে খেলতে গিয়ে এমন ঘটনার সম্মুখীন হল সে। এমনকি, হাসপাতালে ছুটতে হয় তাকে নিয়ে।
ঘটনাটি রবিবার সন্ধ্যার। অভিনেতার দুই ছেলে হিমায়ন ও বিশ্বায়ন। এক জনের বয়স ৮ বছর, অন্য জনের বয়স ১৩ বছর। দুই ভাই গিয়েছিল মাঠে খেলতে। সেই সময় একটি অ্যাওয়ার্ড শো-র কাজে ব্যস্ত ছিলেন অভিনেতা ও তাঁর স্ত্রী। মাঠে খেলতে গিয়ে হঠাৎই শৌচাগারে যাওয়ার প্রয়োজন পড়ে অভিনেতার ছোট ছেলের। তাড়াহুড়োয় তাদের ফ্ল্যাটের উল্টো দিকের একটি বাড়ির সামনে নালার সামনে প্রস্রাব করে সে। দেখা মাত্রই বাড়ির মালিক বেরিয়ে এসে প্রথমেই হাত মুচড়ে দেন বছর আটেকের হিমায়নের।
অভিনেতার স্ত্রী দেবিকা বসুর কথায়, ‘‘ভদ্রলোক আচমকা এসে ওর হাতটা মুচড়ে দিয়ে বলেন, ‘এই প্রস্রাব জিভ দিয়ে চেটে পরিষ্কার করে দে’। তখন ছোট ছেলে কেঁদে উঠলে আমার বড় ছেলে এগিয়ে গিয়ে বলে, ‘কাকু ওকে ছেড়ে দাও, ওর লাগছে’। সেই সময় আমার ছোট ছেলে বলে, ‘আমি জল দিয়ে ধুয়ে দেব, আমায় ছেড়ে দাও’। তখন ওই ভদ্রলোক আমার বড় ছেলেকে বলেন, ‘তা হলে তুই চেটে পরিষ্কার করে দিয়ে যা’।’’
এই ঘটনার পর পাড়ার লোকেরা এগিয়ে এসে প্রতিবাদ করেন বলেই জানান অভিনেতার স্ত্রী। তবে ঘটনার অভিঘাত এতটাই যে, মানসিক ভাবে বিপর্যস্ত হয়ে পড়ে হিমায়ন। হাত মুচড়ে দেওয়ায় রাত্রি থেকে যন্ত্রণা শুরু হয় তার। শেষে বেসরকারি এক হাসপাতালে নিয়ে গিয়ে সেখানে এক্স রে করানো হলে বোঝা যায়, হাড়ের অবস্থান ঘুরে গিয়েছে। হাতে ব্যান্ডেজ নিয়েই সোমবার পরীক্ষা দিতে যায় হিমায়ন। সোমবার আনন্দবাজার অনলাইনকে বিশ্বনাথ বলেন,‘‘গোটা ঘটনাটা কল্পনাতীত। এই ঘটনায় ও স্তব্ধ হয়ে গিয়েছে। আসলে ছোট তো, ভুলতে সময় লাগবে। যদিও সোমবার হাতে ব্যান্ডেজ বেঁধেই গিয়েছে পরীক্ষা দিতে।’’ কিন্তু এই ঘটনায় কোনও আইনি পদক্ষেপ নেবেন কি অভিনেতা? বিশ্বনাথ জানান, সোমবার সন্ধ্যায় গড়ফা থানায় এফআইআর করেছেন ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে। তবে সমাজমাধ্যমে এ সব নিয়ে জলঘোলা করতে চান না বিশ্বনাথ।