(বাঁ দিকে) ‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে কাজল, শ্রুতি দাস। ছবি: সংগৃহীত।
বৃষ্টিভেজার আনন্দ শৈশবেই আটকে থাকে এমন নয়। তাই আরও এক বার সেই নির্ভেজাল আনন্দের স্বাদ নিলেন অভিনেত্রী শ্রুতি দাস। বৃহস্পতিবার পড়ন্ত বিকেলে ঝমঝমিয়ে বৃষ্টি। গামছা জড়িয়ে সটান উঠে পড়লেন ছাদে। বৃষ্টিভেজার ভিডিয়ো ভাগ করে নিলেন সমাজমাধ্যমে। ভিডিয়োর সঙ্গে লেখা, ‘মানুষ ভাবেন সেলেব্রিটিরা গামছা ব্যবহার করেন না। তারা সব সময় তোয়ালে ব্যবহার করেন। কিন্তু আমি ছোট থেকেই গামছা গায়ে বৃষ্টিতে ভিজি।’
হঠাৎ এমন মন্তব্য করলেন কেন শ্রুতি? এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বললেন, “অনেকেই আমার জীবনযাপন নিয়ে কটাক্ষ করে। আমি গামছা গায়ে দিয়েই ভিজব, তাতে যদি মানুষ লোকদেখানো ভাবেন, আমার কিছু করার নেই।” নিজের শিকড়ের সঙ্গে দূরত্ব সৃষ্টি করতে চান না তিনি। মাটির কাছাকাছি থাকতেই ভালবাসেন শ্রুতি।
বৃষ্টিতে স্বামীর সঙ্গেই ভিজতে চেয়েছিলেন শ্রুতি, কিন্তু তা আর হয়ে ওঠেনি। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে শ্রুতি বললেন, “বরকে (স্বর্ণেন্দু সমাদ্দার) বৃষ্টিতে ভেজার কথা বলতেই আমাকে নিষেধ করল, আমার নাকি ঠান্ডা লেগে যাবে! আমার সঙ্গে ভিজতে কত জোর করলাম, কিন্তু কিছুতেই রাজি হল না।” স্বামীর কাছে মনের মতো উত্তর না পেয়ে রান্নাঘরে মায়ের কাছে হাজির হয়েছিলেন অভিনেত্রী। “আমি মাকেও বললাম। অনেক কাজ আছে বলে মা তাড়িয়ে দিল আমাকে,” স্মিত হেসে বললেন শ্রুতি। তাঁর আবদারে শামিল হননি কেউ। অগত্যা মাটিতে ইটের গায়ে মোবাইল রেখে নিজেই তুলেছেন ভিডিয়োটি।
‘দিলওয়ালে দুলহনিয়া লে জায়েঙ্গে’ ছবিতে বৃষ্টির মধ্যে কাজলের তোয়ালে গায়ে জড়িয়ে নাচের দৃশ্য বহুল পরিচিত। নব্বইয়ের দশকের কিশোরীদের কাছে সে এক অমোঘ আকাঙ্ক্ষা। এই প্রসঙ্গে শ্রুতির বক্তব্য, “কাজলের মতো আমিও অনায়াসেই প্রকাশ্যে বৃষ্টির মধ্যে নাচতে পারি। এটা তো একটা আলাদা ফ্যান্টাসি। তবে ওঁর তোয়ালে ছিল, আমার গামছা থাকবে।”