বাংলাদেশের পরিস্থিতি নিয়ে কী বললেন নচিকেতা? ছবি: সংগৃহীত।
সঙ্গীতজীবনের ৩১ বছর পার। আজও নচিকেতা চক্রবর্তী অনুষ্ঠানের আগে পরিকল্পনা করেন না কী কী গান গাইবেন। শনিবার মহাজাতি সদনে তাঁর বিশেষ অবুষ্ঠান। কিছু নতুন গান পরিবেশনের সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানালেন শিল্পী। বেশ কিছু দিন আগে বাংলাদেশে তাঁর একটি অনুষ্ঠান হওয়ার কথা ছিল। বাংলাদেশের অগ্নিগর্ভ পরিস্থিতির জেরে স্বাভাবিক ভাবেই সেই অনুষ্ঠান বাতিল হয়ে যায়। এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে তিনি বললেন, “উদ্যোক্তাদের তরফে জানানো হয়েছে, অনুষ্ঠানটি পরে হবে। আরও দু’তিনটি অনুষ্ঠানের সম্ভাবনা রয়েছে। দেখা যাক। বাংলাদেশের পরিস্থিতি তো এখন অন্য রকম।”
নচিকেতার গান মানে নিছক বিনোদন নয়। তাতে থাকে প্রাসঙ্গিকতার ছোঁয়া। বৃহস্পতিবার পশ্চিমবঙ্গের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী বুদ্ধদেব ভট্টাচার্য প্রয়াত হন। তাঁর গানে কি বুদ্ধবাবু থাকবেন? জবাবে সঙ্গীতশিল্পী বললেন, “না, গানে বুদ্ধবাবু থাকবেন না। তবে বুদ্ধবাবু যে খুব ভাল মানুষ ছিলেন, তা বলাই বাহুল্য। সংস্কৃতিবান লোক ছিলেন।” বুদ্ধদেব ভট্টাচার্যের সঙ্গে তাঁর খুব ভাল সম্পর্ক ছিল। নানা বিষয়ে আলোচনা চলত, জানালেন নচিকেতা।
তিন দশকের সঙ্গীত সফর। পিছন ফিরে তাকালে কী মনে হয়? প্রশ্ন শেষ করার অবকাশ না দিয়েই শিল্পীর উত্তর, “ফিরে তাকালে মনে হয়, এই তো শুরু করলাম! ৩১ বছর কেটে গেল কী ভাবে!” তাঁর মতে, বাঙালি সঙ্গীতশিল্পী হিসাবে সব কিছুই পাওয়া হয়ে গিয়েছে। আক্ষেপের লেশটুকু নেই। বললেন, “যা যোগ্যতা ছিল, তার থেকে অনেক বেশিই পেয়েছি। এর থেকে বেশি কিছু পাওয়ার ছিল না কোনও দিন। আগামী দিনেও আমার সে রকম কোনও চাওয়া নেই।” তবে আক্ষেপের কথা বলতে গিয়ে চার্লি চ্যাপলিনের উক্তি মনে করিয়ে দিলেন নচিকেতা, “আক্ষেপ একটাই। এই যে এতটা সময় পেরিয়ে গেল!”