Tarun Majumder

Tarun Majumdar Death: তরুণ মজুমদার প্রয়াত, বয়স হয়েছিল ৯১ বছর, বাংলা চলচ্চিত্রে এক বর্ণময় অধ্যায়ের ইতি

এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তরুণ মজুমদার। কিডনি এবং হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরে ভুগছিলেন প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক।

Advertisement
নিজস্ব সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ০৪ জুলাই ২০২২ ১১:৩৯
যৌথ ভাবে ছবি পরিচালনা শুরু ১৯৫৯ সালে। ১৯৬৫ সালে একক ভাবে পরিচালনা শুরু করেন তরুণ মজুমদার।

যৌথ ভাবে ছবি পরিচালনা শুরু ১৯৫৯ সালে। ১৯৬৫ সালে একক ভাবে পরিচালনা শুরু করেন তরুণ মজুমদার।

ভেন্টিলেশন থেকে ফিরতে পারলেন না। এসএসকেএম হাসপাতালে শেষ নিশ্বাস ত্যাগ করলেন তরুণ মজুমদার। বয়স হয়েছিল ৯১ বছর। কিডনি এবং হৃদ্‌যন্ত্রের সমস্যায় দীর্ঘ দিন ধরেই ভুগছিলেন প্রবীণ চলচ্চিত্র পরিচালক। গত ১৪ জুন তাঁকে ভর্তি করানো হয় হাসপাতালে। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কয়েক দিনের মধ্যেই তাঁকে উডবার্ন ওয়ার্ড থেকে ক্রিটিক্যাল কেয়ার ইউনিটে স্থানান্তর করা হয়। পরে সেখানে অবস্থার কিছুটা উন্নতিও হয়েছিল তাঁর। কিন্তু সম্প্রতি আবার অবনতি হতে থাকে তাঁর শারীরিক অবস্থার। রবিবার তাঁকে আবার ভেন্টিলেশনে দিতে হয়। সেখান থেকে আর তাঁকে ফেরাতে পারেননি চিকিৎসকরা। সোমবার সকাল ১১টা ১৭ মিনিটে মৃত্যু হয় প্রবীণ পরিচালকের।

১৯৬২ সালে ‘কাচের স্বর্গ’ ছবির জন্য প্রথম জাতীয় পুরস্কার পান পরিচালক। মোট চারটি জাতীয় পুরস্কার জয়ী চলচ্চিত্র পরিচালককে কেন্দ্র পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করে ১৯৯০ সালে। এ ছাড়াও, বিএফজেএ পুরস্কার এবং আনন্দলোক পুরস্কারেও সম্মানিত করা হয়েছিল পরিচালককে।

Advertisement

১৯৩১ সালের ৮ জানুয়ারি ব্রিটিশ ভারতের অবিভক্ত বাংলার বগুড়ায় জন্ম তরুণের। বাবা বীরেন্দ্রনাথ মজুমদার ছিলেন স্বাধীনতা সংগ্রামী। তরুণের পড়াশোনা কলকাতাতেই। সেন্ট পলস্‌ ক্যাথিড্রাল মিশন কলেজ এবং স্কটিশ চার্চ কলেজের ছাত্র তরুণ পরে রসায়ন নিয়ে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা করেন। তরুণের ফিল্ম জগতে পদার্পণ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়াশোনা শেষ করার পরই। তবে ১৯৫৯ সালে প্রথম ফিল্ম পরিচালনায় আসেন তিনি। উত্তম কুমার সুচিত্রা অভিনীত ‘চাওয়া পাওয়া’ ছবিটি দিয়ে। তখন তাঁর বয়স ২৮।

তবে এই ছবিটির পরিচালনায় আসলে ছিল ‘যাত্রিক’ নামে একটি গোষ্ঠী। যার সদস্য ছিলেন শচীন মুখোপাধ্যায়, দিলীপ মুখোপাধ্যায়ের এবং তরুণ মজুমদার। ১৯৬৩ সাল পর্যন্ত এই ‘যাত্রিক’-এর সঙ্গেই ছবির পরিচালনা করেছেন তরুণ। তার পর আলাদা ভাবে ছবি পরিচালনা শুরু করেন। ১৯৬২ সালে এই যাত্রিকের পরিচালনাতেই ‘কাচের স্বর্গ’ ছবিটি তৈরি হয়। যা পরে জাতীয় পুরস্কার এনে দেয় পরিচালককে।

তরুণের পরিচালিত যে সমস্ত ছবি সমালোচকদের প্রশংসা কুড়িয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম— পলাতক (১৯৬৩), নিমন্ত্রণ (১৯৭১), সংসার সীমান্তে (১৯৭৫) এবং গণদেবতা (১৯৭৮)। তাঁর পরিচালিত হিট ছবিগুলির মধ্যে উল্লেখযোগ্য— বালিকা বধূ, কুহেলি, শ্রীমান পৃথ্বীরাজ, ফুলেশ্বরী, দাদার কীর্তি, ভালবাসা ভালবাসা, আপন আমার আপন-এর মতো সিনেমা গুলি।

আরও পড়ুন
Advertisement