‘আড়ি’ ছবিতে সঙ্ঘশ্রী সিংহ মিত্র এবং মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। নিজস্ব চিত্র।
“আমি মৌসুমীদিকে ভয়ে ভয়ে অনুরোধ জানাচ্ছি, দিদি এক বার মহড়া দিয়ে নেব? জবাবে দিদি বলছেন, ‘অত মহড়ার দরকার নেই! তুই এমনিই পারবি...’” সঙ্ঘশ্রী সিংহ মিত্রের কাছে এটাই মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়। যাঁর সঙ্গে ছোট্ট একটি দৃশ্য ভাগ করে নেওয়ার আশায় ‘আড়ি’ ছবিতে অভিনয়ের জন্য এক কথায় রাজি হয়েছেন।
এই ছবিতে অভিনেত্রীর সাজ কেমন? প্রকাশিত আনন্দবাজার অনলাইনের পাতায়। কী ধরনের চরিত্রে অভিনয় করছেন সঙ্ঘশ্রী? অভিনেত্রী জানিয়েছেন, অতিথি চরিত্রে দেখা যাবে তাঁকে। দীর্ঘ সময় ধরে দৃশ্য ভাগ করার সুযোগ হয়নি ঠিকই, কিন্তু চরিত্রটি যথেষ্ট গুরুত্বপূর্ণ। ফলে, ক্যামেরার সামনে দাঁড়ানোর আগে মৌসুমীর সঙ্গে এক বার মহড়া দিতে চেয়েছিলেন। কারণ, ভিতরে ভিতরে তত ক্ষণে রীতিমতো ঘামছেন সঙ্ঘশ্রী। তখনই বর্ষীয়ান অভিনেত্রী উপরিউক্ত কথাগুলি বলে আশ্বস্ত করেন সঙ্ঘশ্রীকে। সাধারণ ছাপা শাড়ি, লেপ্টে যাওয়া সিঁদুরের টিপ, এলোমেলো চুল— এ ভাবে বড় পর্দায় ধরা দেবেন সঙ্ঘশ্রী। নিতান্তই ঘরোয়া সাজে, আটপৌরে চরিত্রে।
দৃশ্যগ্রহণের পরেই বয়সে অনেক ছোট অভিনেত্রীকে প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন বাংলা ও বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী। জড়িয়ে ধরেছেন। এ ভাবেই ভয় ভাঙালেন মৌসুমী?
এ বার সজোরে হাসি। অভিনেত্রীর কথায়, “সামান্য সময় কাটিয়েছি। এক দিনের কাজ ছিল। তাতেই বুঝলাম, ওঁর মধ্যে এখনও ছেলেমানুষি আর পাগলামি পুরো মাত্রায় রয়েছে। আর সেটা রয়েছে বলেই দিদি এখনও আগের মতো। সারা ক্ষণ হইহই করছেন।” দৃশ্য ক্যামেরাবন্দি হওয়ার পরে আড্ডা শুরু। সঙ্ঘশ্রীর ঘর-বর নিয়ে খোঁজ নিয়েছেন মৌসুমী। জানতে চেয়েছেন, অভিনেত্রীর বর কী করেন? পরামর্শও দিয়েছেন, “বরের যত্ন নিবি। মন দিয়ে সংসার করবি। কখনও স্বামী-সংসারে অবহেলা দেখাবি না।” বরের পরিচয় জেনে মহাখুশি তিনি। সঙ্ঘশ্রীর বরকে নিজের চোখে দেখবেন বলে সঙ্গে সঙ্গে ডেকে পাঠিয়েছেন।
এ দিকে ইন্ডাস্ট্রি জানে, অভিনেত্রীর বর নাকি ভীষণ লাজুক! সায় দিয়েছেন সঙ্ঘশ্রী, “ওরে বাবা! সে তো দিদির সামনে গিয়ে লজ্জায় লাল। আর মৌসুমীদি পাশে বসিয়ে ওর গাল টিপে আদর করছেন!” বাড়ি ফিরে ব্যাপারটা নিয়ে স্বামীর সঙ্গে খুব ঠাট্টা করেছিলেন তিনি। বলেছিলেন, “কী কাণ্ড! শ্বশুরমশাই মৌসুমী চট্টোপাধ্যায়কে স্বপ্নে দেখতেন। তাঁর ছেলের গাল টিপে আদর করলেন সেই স্বপ্নসুন্দরী।”