ঋত্বিক চক্রবর্তীর সঙ্গে অপরাজিতা ঘোষ। ছবি: সংগৃহীত।
সোমবার অভিনেতা ঋত্বিক চক্রবর্তীর জন্মদিন। অভিনেত্রী অপরাজিতা ঘোষের সঙ্গে অভিনেতার ১৪ বছরের দাম্পত্যজীবন। বিশেষ দিনে অভিনেত্রীর কাছে ঋত্বিককে নিয়ে বেশ কিছু প্রশ্ন করেছিল আনন্দবাজার ডট কম।
ঋত্বিক খুবই সাদামাটা জীবনযাপন পছন্দ করেন। জন্মদিন উদ্যাপন নিয়েও কি এ রকম মনোভাব পোষণ করেন? অপরাজিতা এই বক্তব্য মেনে নিলেন। বললেন, ‘‘ঋত্বিক সব তারিখ ভুলে যায়। নিজের জন্মদিন নিয়েও তাই ওর বিশেষ মাথাব্যথা নেই। যা করার, সেটা আমরাই করি।’’ শৈশবে ঋত্বিকের জন্মদিনে তাঁর মায়ের হাতের পায়েস রান্না এবং শাঁখ বাজানোর কথা শুনেছেন অপরাজিতা। বললেন, ‘‘কিন্তু এই দিনে ও কোনও রকম বাড়াবাড়ি বা আতিশয্য পছন্দ করে না।’’ তবে জানালেন, বাবা এবং মায়ের জন্মদিন নিয়ে তাঁদের পুত্র উপমন্যুর আলাদা উৎসাহ রয়েছে।
ঋত্বিক যে ভাল অভিনেতা, তা জানেন অপরাজিতা। তবে তাঁর কাছে তারও বাইরে ‘ব্যক্তি’ ঋত্বিক অনেক বেশি গুরুত্বপূর্ণ বলেই দাবি করলেন তিনি। এক ছাদের নীচে সংসার করতে করতে দু’জন মানুষের মধ্যে একাধিক পরিবর্তন দেখা যায়। সে কথা মেনে নিলেও, ঋত্বিককে নিয়ে আশাবাদই ধরা পড়ল অপরাজিতার কণ্ঠে। বললেন, ‘‘জীবনে পরিবর্তন স্বাভাবিক। কিন্তু আমি আর ঋত্বিক খুবই কাছাকাছি থেকেছি বলে হয়তো আমাদের পরিবর্তনগুলোও একই সঙ্গে ঘটেছে। আমরা সেটা বুঝতে পারিনি।’’ অভিনেত্রীর মতে, তাঁদের মধ্যে কোনও পরিবর্তন ঘটে থাকলে তা ইতিবাচক। অভিনেত্রীর যুক্তি, ‘‘সেই পরিবর্তন ঘটলেও সেটা আমার চোখে পড়েনি। কারণ, আমাদের দু’জনের সম্পর্কটা একই রয়ে গিয়েছে।’’
(বাঁ দিক থেকে) ঋত্বিক, অপরাজিতা এবং উপমন্যু। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
জীবনের পথে একসঙ্গে চলতে গিয়ে ঋত্বিককে ভাল লাগার নেপথ্যেও একাধিক কারণের কথা বললেন অপরাজিতা। বললেন, ‘‘ঋত্বিক খুবই সাদামাটা এবং খাঁটি একজন মানুষ। আমিও সে রকমই একজন। আমরা একরকম না হলে, হয়তো আমাদের দু’জনের বিপদই হয়ে যেত!’’ তাঁদের সুখী দাম্পত্যের রহস্য কী? অপরাজিতা বললেন, ‘‘আমাদের দাম্পত্যের আধারই হল বন্ধুত্ব এবং একে অপরকে ভীষণ ভাবে বুঝতে পারা।’’
ঋত্বিকের জন্মদিনে উপহার নিয়েও নিজস্ব পরিকল্পনা থাকে অপরাজিতার। কিন্তু সেখানেও ‘আতিশয্য’ এড়িয়ে চলতেই পছন্দ করেন অভিনেত্রী। অপরাজিতার কথায়, ‘‘উপহার প্রতি বছরই বদলে যায়। আমি তো জানি, ওর ঠিক কী কী প্রয়োজন। আর ও খুবই সাধারণ একজন বলেই, উপহারও সে রকমই হয়।’’
জন্মদিন বাড়িতে পরিবারের সঙ্গে কাটাবেন ঋত্বিক। বিশেষ দিনে তাঁকে আলাদা করে কোনও কিছু বলতে নারাজ অপরাজিতা। কারণ তিনি বিশ্বাস করেন, কোনও সূক্ষ্ম অনুভূতি তিনি যে কোনও দিনই স্বামীর সঙ্গে ভাগ করে নিতে পারেন। অপরাজিতার কথায়, ‘‘সে রকম কোনও ঘটনা হলে নিশ্চয়ই সেটা আমি ওকে আলাদা করে বলব। কারণ, ওকে কিছু বলতে হলে আমার অন্য কোনও মাধ্যমের প্রয়োজন নেই।’’
জন্মদিনে অভিনেতা ঋত্বিককে বললেন, ‘‘ওর জন্য আমার শুভকামনা কোনও একটা নির্দিষ্ট দিনে সীমাবদ্ধ থাকতে পারে না। কারণ আমি তো ওর বাড়ির লোক। তাই সারা বছরই ও ভাল থাকলে আমি শান্তি পাই।’’