সোহম চক্রবর্তী এবং মিঠুন চক্রবর্তী। ছবি: সংগৃহীত।
বুধবার থেকে শুরু হয়ে গেল ‘শাস্ত্রী’ ছবির শুটিং। এই ছবির মাধ্যমেই প্রায় ১৬ বছর পর আবার বড় পর্দায় ফিরছে মিঠুন চক্রবর্তী এবং দেবশ্রী রায়ের জুটি। সোহম চক্রবর্তী ছবির অন্যতম প্রযোজক। এই ছবি নিয়ে তাঁর পরিকল্পনা জানালেন অভিনেতা।
এর আগে ‘কলকাতার হ্যারি’, ‘পাকা দেখা’ বা ‘এলএসডি’র মতো বেশ কয়েকটি ছবি প্রযোজনা করেছেন সোহম। তুলনায় ‘শাস্ত্রী’ অনেকটাই বড় প্রেক্ষাপট। সোহম বলছিলেন, ‘‘শুরুতে অভিজ্ঞতা কম ছিল। প্রথমে একটু সিকিউরিটির কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু পরে বুঝতে পেরেছি, বিষয়বস্তুর পাশাপাশি বক্স অফিসের চাহিদার দিকেও আমাকে খেয়াল রাখতে হবে। এ বারে সেটাই করার চেষ্টা করছি।’’ অভিনেতা জানালেন, সেই জন্যই ছবির সহ-প্রযোজক হিসেবে সুরিন্দর ফিল্মসের সঙ্গে জুটি বেঁধেছেন তিনি। সোহমের যুক্তি, ‘‘যাঁরা বড় ছবি বোঝেন, যাঁদের হাত ধরে আমি তারকা হয়েছি তাঁদেরকে ভুলে গেলে তো মুশকিল। তাঁরা পাশে থাকলে আরও বেশি শিখতে পারব।’’
মিঠুন-দেবশ্রী ছবির মূল আকর্ষণ। পাশাপাশি এক ঝাঁক তারকা রয়েছেন ছবিতে। সৌরসেনী মৈত্র, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়, রজতাভ দত্ত, অনির্বাণ চক্রবর্তী, কৌশিক সেন, কাঞ্চন মল্লিক, অম্বরীশ ভট্টাচার্য। সোহম নিজেও একটি চরিত্রে অভিনয় করছেন। তাঁর পর্বের শুটিং শুরু হবে আগামী ৫ ফেব্রুয়ারি থেকে। সোহম বললেন, ‘‘বড় ছবির জন্য আমি কাস্টিংয়ে কোনও খামতি রাখতে চাইনি। ইন্ডাস্ট্রির সেরা কলাকুশলীদের নেওয়ার চেষ্টা করেছি। কারণ, প্রযোজনা সংস্থা হিসেবে সামনে আসতে হলে আমি জানি এগুলো প্রয়োজন।’’
মিঠুনের সঙ্গে সোহমের দীর্ঘ দিনের সম্পর্ক। দু’জনে এক সঙ্গে ছবিও করেছেন। কিন্তু এখন মিঠুন বেছে ছবি করেন। ‘প্রজাপতি’র পর ‘কাবুলিওয়ালা’র মধ্যেও প্রায় এক বছরের ব্যবধান ছিল। তাঁকে রাজি করানো কতটা কঠিন ছিল? সোহমের কথায়, ‘‘মিঠুনদা আমাকে অত্যন্ত স্নেহ করেন। মিঠুনদা যখন কলকাতায় শুটিং করছিলেন, এক দিন সেটে গিয়ে ওঁকে গল্পটা শোনাই। দাদা বলেছিলেন, ‘‘বিট্টু, আমার এত বছরের কেরিয়ারে এত ভাল গল্প শুনিনি।’’ সঙ্গে সঙ্গে রাজি হয়ে যান।’’ সোহম জানালেন, তার পর বিভিন্ন সময়ে মিঠুনের সঙ্গে কথা বলে ছবির প্রস্তুতি একটু একটু করে এগিয়েছেন তিনি।
দেবারতি মুখোপাধ্যায়ের গল্প অবলম্বনে তৈরি এই ছবিতে জ্যোতিষচর্চা এবং বিজ্ঞানের দ্বৈরথকে তুলে ধরা হবে। চলতি বছরের পুজোয় মুক্তি পাবে পথিকৃৎ বসু পরিচালিত ‘শাস্ত্রী’।