অসাধু উপায়ে পরীক্ষা দেওয়া আটকাতে একগুচ্ছ নিয়মাবলি জারি করল পর্ষদ। নিজস্ব চিত্র।
২০২৫ মাধ্যমিক নিয়ে তৎপর মধ্যশিক্ষা পর্ষদ। পরীক্ষার হলে নকল করা বা প্রশ্ন ফাঁস রুখতে এ বার একগুচ্ছ নিয়মাবলি টেস্ট পেপারেই ছাপানো হল। অসাধু উপায়ে যাতে কেউ পরীক্ষা দেওয়ার পরিকল্পনা না করে, সে বিষয়ে পরীক্ষার্থীদের সচেতন করতেই এই উদ্যোগ।
এও লেখা হয়েছে, পরীক্ষার্থী যেন মাধ্যমিকের বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয় এবং উল্লিখিত নিয়মাবলির কথা মাথায় রাখে। কী কী বিষয়ে সচেতন করার চেষ্টা করা হয়েছে, তার একটি তালিকা দেওয়া হল।
১. অ্যাডমিট কার্ড এবং রেজিস্ট্রেশন কার্ড ছাড়া অন্য কোনও নথি নিয়ে প্রবেশ করা যাবে না।
২. অভিভাবককে পরীক্ষাকেন্দ্রের ভিতরে নিয়ে যাওয়া চলবে না।
৩. মোবাইল ফোন কিংবা কোনও বৈদ্যুতিন যন্ত্র ব্যবহারে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে।
৪. পরীক্ষা শেষ না হওয়া পর্যন্ত পরীক্ষার হলের বাইরে যাওয়া চলবে না।
৫. ভাল ফলের জন্য কোনও অসাধু উপায় অবলম্বন করা যাবে না।
এই বিষয়ে দ্য পার্ক ইনস্টিটিউশনের প্রধান শিক্ষক সুপ্রিয় পাঁজার বক্তব্য, ‘‘মধ্যশিক্ষা পর্ষদ অনেক আগে থেকেই পরীক্ষা সংক্রান্ত বিষয়ে সচেতনতা তৈরি করতে অ্যাডমিট কার্ডে নিয়মাবলি ছাপিয়ে পাঠাত। কিছু ক্ষেত্রে পরীক্ষার হলেও নির্দেশিকা পড়ে শোনানো হত। এ বার টেস্ট পেপারে পরীক্ষার কয়েক মাস আগে থেকেই যদি সেই নিয়মাবলি ছাত্র-ছাত্রীদের কাছে পৌঁছে যায়, তাহলে তাতে উপকৃত হবে সকলেই।’’
তবে, সকলেই কী টেস্ট পেপার ব্যবহার করে? আর করলেও কী এই নিয়মাবলি কোনও ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে? প্রশ্ন তুলেছেন শিক্ষকমহলের একাংশ।
বঙ্গীয় শিক্ষক ও শিক্ষাকর্মী সমিতির সাধারণ সম্পাদক স্বপন মণ্ডল বলেন, “মধ্যশিক্ষা পর্ষদ হয়তো পরীক্ষার্থীদের সচেতন করতে পরীক্ষার হলে অবশ্য পালনীয় বিষয়গুলি সম্পর্কে অবহিত করতে চাইছে। কিন্তু দুঃখের বিষয়, এই টেস্ট পেপার সরকার ছাত্রছাত্রীদের নেওয়া বাধ্যতামূলক করলেও অধিকাংশ ক্ষেত্রেই এর ব্যবহার করাই হয় না, বাড়িতেই পরে থাকে।”
তবে, শিক্ষামহলের একাংশের এও দাবি, পড়াশোনার সঙ্গে এই নৈতিক শিক্ষা দেওয়াটা পর্ষদের দায়িত্বের মধ্যে পড়ে। এ বার এই নিয়মাবলি পরীক্ষার ১০ দিন আগে মিললে কিছুটা হলেও হয়তো পরিস্থিতির পরিবর্তন হতে পারে। উল্লেখ্য, ২০২৫ সালের ১০ ফেব্রুয়ারি শুরু হচ্ছে মাধ্যমিক পরীক্ষা। চলবে ২২ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত।