(বাঁ দিকে) ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। বরখা বিস্ত (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
দর্শক মহলে অন্যতম জনপ্রিয় জুটি ছিলেন বরখা বিস্ত ও ইন্দ্রনীল সেনগুপ্ত। প্রায় ১৫ বছরের দাম্পত্য তাঁদের। আচমকাই ২০২১ সালে বিচ্ছেদের কথা শোনা যায় টলিপাড়ার চর্চিত এই দম্পতির। প্রায় তিন বছর তাঁরা আলাদা থাকছেন। এ বার ফের এক ছাদের তলায় বরখা-ইন্দ্রনীল। তবে কি জোড়া লাগতে চলেছে ভাঙা সম্পর্ক?
শোনা যায় তাঁদের দাম্পত্য ভাঙার পিছনে ছিল ইন্দ্রনীলের ‘পরকীয়া’। যদিও প্রকাশ্যে কখনওই সেই বিষয়ে মুখ খোলেননি অভিনেতা। এ বার প্রাক্তন এই দম্পতিকে দেখা গেল একসঙ্গে। ফ্ল্যাটের বারান্দায় সময় কাটাচ্ছেন। তবে বাস্তব জীবনে নয়, গোটাটাই ‘রিল লাইফ’-এ। ‘চলতি রহে জিন্দেগি’ নামের একটি ছবির প্রথম ঝলক এল প্রকাশ্যে। তবে কি বিচ্ছেদের পর ফের একসঙ্গে কাজ করছেন তাঁরা? সহজ হল বরখা-ইন্দ্রনীলের সম্পর্ক?
না। বরখা জানান, তাঁদের সম্পর্কের দূরত্ব বজায় রয়েছে। তবে এই ছবিটির কাজ যখন করেছিলেন, তখন ইন্দ্রনীলের সঙ্গে সুখী ছিলেন বরখা। লকডাউনের সময় ছবিটার শুটিং হয়। তার পরই তাঁদের দাম্পত্য ফাটল ধরে।
বরখা বলেন, “আমরা যখন এই ছবির শুট করি তখন লকডাউন চলছিল। আমাদের বিবাহিত জীবন ছিল আনন্দে পূর্ণ। সেই সময় পরিচালক আরতি এস বাগদি এই সিনেমার প্রস্তাব নিয়ে আসেন। গল্পটা একটি হাউজ়িং সোসাইটিতে থাকা তিন মহিলার। আমার চরিত্র হল এক ‘সিঙ্গল মাদার’-এর, স্বামী তাঁকে ঠকিয়েছে। আর ইন্দ্রনীলের চরিত্রটা হল এই একই আবাসনে থাকা এক পুরুষের, তিনিও স্ত্রীর থেকে আলাদা।” এই ছবিতে বরখা-ইন্দ্রনীলের সঙ্গে দেখা যাবে তাঁদের মেয়ে মাইরাকেও।
গত তিন বছরে তাঁর ও ইন্দ্রনীলের সম্পর্কের শৈত্য কাটেনি। হয়তো ভবিষ্যতে একসঙ্গে কাজ করতেও স্বচ্ছন্দ বোধ করবেন না তাঁরা। তবে বরখা সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে বলেছিলেন, “আমি ইন্দ্রনীলের সঙ্গে বন্ধুত্বটা ফিরে পেতে চাই। আর যাই হোক না কেন, ও খুব ভাল মানুষ।”