রায়ান গজ়লিং এবং মার্গো রবি। ছবি: সংগৃহীত।
গত ২১ জুলাই একই সঙ্গে প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পেয়েছে হলিউডের তাবড় দুই ছবি। এক দিকে হলিউডের নামজাদা পরিচালক ক্রিস্টোফার নোলানের ‘ওপেনহাইমার’। অন্য দিকে, গ্রেটা গারউইগ পরিচালিত ছবি ‘বার্বি’। সিনেপ্রেমীদের মধ্যে নোলানের নামডাক ও প্রাসঙ্গিকতা প্রায় প্রশ্নাতীত। অন্য দিকে, সিনেমার জগতে গ্রেটা গারউইগের পরিচিতি আদ্যোপান্ত নারীবাদী হিসাবে। ‘লেডি বার্ড’, ‘লিটল উইমেন’-এর পর ‘বার্বি’ সবে তৃতীয় ছবি গ্রেটার। তাতেই ছক্কা হাঁকিয়েছেন গ্রেটা। বিশ্ব জু়ড়ে বক্স অফিস ব্যবসার নিরিখে ‘ওপেনহাইমার’-কে টেক্কা দিয়েছিলেন আগেই। তার সপ্তাহ খানেক পরেই গ্রেটার কাছে আবারও গোল খেলেন নোলান। বক্স অফিস ব্যবসার দিক থেকে এ বার নোলানের ‘ব্যাটম্যান’ সিরিজ়ের ছবি ‘দ্য ডার্ক নাইট’-কেও ছাড়িয়ে গেল ‘বার্বি’। এই মুহূর্তে ‘ওয়ার্নার ব্রোজ়’-এর সব থেকে জনপ্রিয় ও আর্থিক দিক দিয়ে লাভজনক ছবির তালিকায় শীর্ষে রয়েছে গ্রেটা গারউইগের ছবি।
২০০৮ সালের জুলাই মাসে মুক্তি পেয়েছিল নোলানের ‘ব্যাটম্যান’ সিরিজ়ের দ্বিতীয় ছবি ‘দ্য ডার্ক নাইট’। স্রেফ আমেরিকার বক্স অফিসেই ওই ছবি ব্যবসা করেছিল প্রায় ৫৩৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক প্রায় চার হাজার ৪০০ কোটি টাকা। সম্প্রতি আমেরিকার বক্স অফিসে ব্যবসার সেই অঙ্ক ছাড়িয়ে গিয়েছে গ্রেটার ‘বার্বি’। ‘বার্বি’-র ঝুলিতে এখনও পর্যন্ত রয়েছে ৫৩৭ মিলিয়ন মার্কিন ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা চার হাজার ৫০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। মুক্তির পর মাত্র ১৬ দিনের মধ্যে বিশ্বজোড়া বক্স অফিসে এক বিলিয়ন মার্কিন ডলারের ব্যবসা করে ফেলেছে গ্রেটার ছবি। ভারতীয় মুদ্রায় যার অঙ্ক প্রায় ৮ হাজার ৩০০ কোটি টাকা। এখন সেই অঙ্ক দাঁড়িয়ে ১.৩৫ বিলিয়ন মার্কিন ডলারে, যা ভারতীয় মুদ্রায় ১১ হাজার ২০০ কোটি টাকার কাছাকাছি। শোনা যাচ্ছে, আর কিছু দিনের মধ্যে ‘ইউনিভার্সাল পিকচার্স’-এর ‘দ্য সুপার মারিও ব্রোজ় মুভি’-কেও ছাড়িয়ে যেতে পারে ‘বার্বি’র বক্স অফিস ব্যবসার অঙ্ক।
‘বার্বি’ ছবির মুখ্যচরিত্রে অভিনয় করেছেন হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মার্গো রবি ও অভিনেতা রায়ান গজ়লিং। ‘বার্বি’র এই অসামান্য বক্স অফিস সাফল্যে লাভবান হয়েছেন মার্গো রবিও। খবর, ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পারিশ্রমিক পেয়েছেন মার্গো, ভারতীয় মুদ্রায় যা ৪১৫ কোটি টাকারও বেশি। ছবির ব্যবসা যে গতিতে এগোচ্ছে, তাতে ‘গ্র্যাভিটি’-তে সান্দ্রা বুলকের ৭০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের (৫৮২ কোটি টাকা) উপার্জনকেও টপকে যেতে পারেন মার্গো।