বড় পর্দায় টিনটিন? সংগৃহীত চিত্র।
ফিরছে ছোটবেলা। ফেরাচ্ছেন অতনু ঘোষ। শনিবারের বিকেল এই একটি গুঞ্জনে সরগরম!
অনেকের এ-ও দাবি, পরিচালক নাকি নিজে সে কথা জানিয়েছেন সমাজমাধ্যমে, জয় গোস্বামীর লেখা ‘অভিনয়ে এলেন’ কবিতা ভাগ করে। সঙ্গে ছোট্ট বার্তা, ‘এত দিন পর ভেবে দেখলাম, টিনটিন নিয়ে ছবি করা যায়’। ভাইরাল সেই পোস্ট। অনুরাগীদের প্রত্যেকের জিজ্ঞাসা, কবে টিনটিন পরিচালনায় হাত দিচ্ছেন? টিনটিন, ক্যাপ্টেন হ্যাডক, ক্যালকুলাস কারা হবেন? তাঁদের যুক্তি, ‘প্রফেসর শঙ্কু’ যদি সন্দীপ রায়ের পরিচালনায় বড় পর্দায় আসতে পারেন, তা হলে ‘টিনটিন’ নয় কেন?
একই প্রশ্ন নিয়ে আনন্দবাজার অনলাইন যোগাযোগ করেছিল ‘শেষ পাতা’ ছবির পরিচালকের সঙ্গে। তিনি প্রথমেই পুরো ঘটনা নস্যাৎ করেছেন। তাঁর কথায়, ‘‘এক, জয় গোস্বামীর এই কবিতা কেউ বেশি পড়েননি। কিন্তু আমার খুব প্রিয়। ছুটির দিনে ভাবলাম সবার সঙ্গে আরও এক বার ভাগ করে নিই।”
অতনুর মতে, কবিতায় জয় গোস্বামী নিজেকে নিয়ে চমৎকার রসিকতা করেছেন। জয়ের কল্পনায়, তাঁকে নাকি সন্দীপ রায় শঙ্কু চরিত্রে অভিনয়ের জন্য ডেকেছেন। সেই খবর ছড়াতেই নাকি স্পিলবার্গও তাঁকে ফোনে জানিয়েছেন, এ বার তিনি টিনটিন বানাবেন। কারণ, ক্যালকুলাসের সঙ্গে কবির চেহারার অদ্ভুত মিল!
সেই সূত্র ধরেই তিনি কবিতার দুটো পঙ্ক্তি ধার নিয়ে বিবরণীতে লিখেছেন। তা কেউ বুঝতেই পারেননি। উল্টে অনুমান তৈরি হয়েছে পরিচালককে ঘিরে।
হলে ক্ষতি কী? প্রশ্ন ফুরোনোর আগেই অতনুর সপাট দাবি, ‘‘খুব ভাল কার্টুন ছবি হতেই পারে। কিন্তু বাংলায় কোনও ভাবেই সম্ভব নয়। স্বত্ব কিনতেই লাগবে ১৫০ কোটি টাকা। তার পর ছবি বানানো।’’ তার পরেই রসিকতা, ‘‘পারলে একমাত্র স্পিলবার্গই পারবেন এই স্বপ্ন সত্যি করতে।’’