নিজেদের অনুভূতি উজাড় করেছেন নানা পেশার ১৪ জন বিশিষ্ট মানুষ।
অনেক দিন যোগাযোগ নেই তাঁর সঙ্গে। সেই তিনিই হঠাৎ খবর নিচ্ছেন অতনু ঘোষের। এমনও অনেকে আছেন, কাজের ব্যস্ততায় যাঁদের উপস্থিতি চোখেই পড়েনি পরিচালকের, তাঁরা পরিচালকের চোখে নতুন রূপে ধরা দিয়েছেন অতিমারি কালে।
সবার জীবনেই কি এমন ঘটনা ঘটেছে কোভিডকে ঘিরে? এই অনুভূতি থেকেই পরিচালকের ২৭ মিনিটের ছোট ছবি ‘অনুভবে অতিমারি’। যেখানে নিজেদের অনুভূতি উজাড় করেছেন নানা পেশার ১৪ জন বিশিষ্ট মানুষ। যাঁদের কথা শুনতে-দেখতে গেলে ৫০ টাকা খরচ করতে হবে দর্শকদের। অতনুর কথায়, এই অর্থ তুলে দেওয়া হবে স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার হাতে। কোভিড আক্রান্তের সাহায্যার্থে খরচের জন্য।
বিভিন্ন পেশার বিশিষ্ট জনেরা অতিমারিতে বিপর্যস্তদের পাশে নানা ভাবে পাশে দাঁড়াচ্ছেন। আনন্দবাজার ডিজিটালের কাছে অতনুর স্বীকারোক্তি, ‘‘আমি ছবি তৈরি ছাড়া আর কিছুই পারি না। তাই তাকেই হাতিয়ার বানিয়ে এই প্রচেষ্টা।’’ পরিচালকের আরও যুক্তি, খুব অল্প সময়ে মানুষের জীবন বদলে দিয়েছে অতিমারি। মানুষ অনেক কিছু ভাবতে শিখেছে। উপলব্ধি করতে শিখেছে। সেই উপলব্ধিকেই ক্যামেরাবন্দি করার ইচ্ছে জেগেছিল। নেটমাধ্যমে অতনু জানিয়েছিলেন সে কথা। তারই ফলাফল, মনোবিদ অনুত্তমা বন্দ্যোপাধ্যায়, প্রয়াত পরিচালক মৃণাল সেনের ছেলে কুণাল সেন, সুরকার দেবজ্যোতি মিশ্র এবং আরও অনেকে তাঁদের অনুভূতি মুঠোফোনে ক্যামেরাবন্দি করে পাঠিয়েছেন পরিচালককে। যা দেখা যাচ্ছে একাধিক ওয়েব প্ল্যাটফর্মে।