সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অতীত-স্মৃতি হাতড়ালেন বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। একই অভিনেত্রীকে দর্শক কী ভাবে পুরোপুরি বিপরীতধর্মী চরিত্রেও দিব্যি পছন্দ করেন, তা আগের মতোই এখনও অবাক করে তাঁকে। সেই প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়েই সঞ্জয় দত্তের উদাহরণ টানলেন অরুণা।
সঞ্জয়ের মা থেকে প্রেমিকা অরুণা!
মা থেকে প্রেমিকা, নায়িকা থেকে লাস্যময়ী— হরেক চরিত্রেই তাঁকে দেখেছে বলিউড। ছয় দশকে লম্বা কেরিয়ারে তাঁকে অবশ্য নায়ক-নায়িকার মা হিসেবেই বেশি চেনেন দর্শক। একদা পর্দার ‘ভ্যাম্প’ অরুণা ইরানি কী ভাবে দেখেন সেই তকমাকে?
সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে অতীত-স্মৃতি হাতড়ালেন বলিউডের জনপ্রিয় এই অভিনেত্রী। একই অভিনেত্রীকে দর্শক কী ভাবে পুরোপুরি বিপরীতধর্মী চরিত্রেও দিব্যি পছন্দ করেন, তা আগের মতোই এখনও অবাক করে তাঁকে। সেই প্রসঙ্গে বলতে গিয়েই সঞ্জয় দত্তের উদাহরণ টানেন অরুণা।
সঞ্জয়ের প্রথম ছবি ‘রকি’তে তাঁর মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছিলেন অরুণা। সঞ্জুর সঙ্গে দ্বিতীয় ছবি ‘জনি আই লভ ইউ’-এ সেই তিনিই লাস্যময়ী! অভিনেত্রীর কথায়, “বলিউডে সিংহভাগ অভিনেতার সঙ্গেই কাজ করেছি আমি। সঞ্জয় তাঁদেরই এক জন। ওর প্রথম ছবিতে আমি ছিলাম ওর মা। আর পরের ছবিতে ওকেই প্রেমের প্রলোভন দিলাম! কী করে যে দর্শক একই মানুষকে এমন বিপরীত চরিত্রে মেনে নেন, আজও বুঝে উঠতে পারলাম না!”
১৯৬১ সালের ছবি ‘গঙ্গা যমুনা’য় শিশুশিল্পী হিসেবে বলিউডে পা রাখেন অরুণা। কাজ করেছেন ৫০০-রও বেশি ছবিতে। কেরিয়ারের একেবারে শুরুর দিকেই নানা স্বাদের চরিত্রে কাজ করেছিলেন অভিনেত্রী। নায়িকা হয়ে শুরু করে মা বা দজ্জাল শাশুড়ির চরিত্রেই বেশি জনপ্রিয় হন অরুণা।