(বাঁ দিকে) শাকিব খান। অপু বিশ্বাস (ডান দিকে)। ছবি: সংগৃহীত।
ফের বিয়ে করছেন শাকিব খান। গত কয়েক দিন ধরেই যেন নিয়ে হইহই পড়ে গিয়েছে দুই বাংলায়। এমনিতেই সংবাদমাধ্যমের সামনে খুব বেশি ধরা দেন না শাকিব। তবে শোনা যাচ্ছে, বিয়ের জন্য নাকি সম্মতিও দিয়েছেন অভিনেতা। তবে এর আগে আরও দু’বার বিবাহিত সম্পর্কে ছিলেন তিনি। অভিনেতার প্রথম স্ত্রী অপু বিশ্বাস। দ্বিতীয় স্ত্রী বুবলী। অন্তত অভিনেত্রী বুবলী তেমনটাই দাবি করেন। দুই পক্ষের দুই পুত্রসন্তানও রয়েছে শাকিবের। যদিও এই ত্রয়ীর সম্পর্কের রসায়ন নিয়ে নানা মুনির নানা মত। তাঁরা কি বিবাহিত, না কি একে অপরের প্রাক্তন, তা নিয়ে রয়েছে ধোঁয়াশা। এর মাঝেই অভিনেতার তৃতীয় বিয়ের খবর প্রকাশ্যে। যদিও অভিনেতার প্রথম স্ত্রী অপু শাকিবের বাড়িতে যাতায়াত করেন। অভিনেতার মা ও বোনের সঙ্গেও সুসম্পর্ক রয়েছে অপুর। শাকিবের তৃতীয় বিয়ে নিয়ে চারপাশে যে জল্পনা, সেই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনের কাছে মুখ খুললেন অপু।
চারপাশে নানা কথা শাকিবের বিয়ে নিয়ে। কারও মতে, তাঁর নাকি মেয়ে পছন্দ হয়ে গিয়েছে। কেউ বলছেন, পাত্রী নাকি চিকিৎসক, বাস তাঁর মুন্সিগঞ্জে। প্রায় ন’বছরের সম্পর্ক অপু-শাকিবের। যদিও মাঝে অনেক ঝ়ড়ঝাপটা গিয়েছে তাঁদের সম্পর্কে। আনন্দবাজার অনলাইনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অপু জানিয়েছিলেন, ছেলে জয়ের কথা ভেবেই তাঁরা ফের স্বাভাবিক করেছেন তাঁদের সম্পর্ক। তবে শোনা যায়, গত বছর নাকি বিবাহবিচ্ছেদ হয়ে গিয়েছে তাঁদের। তবু এই ইদেও শাকিবের বাড়ি গিয়েছিলেন অভিনেত্রী। সেখানে রান্না করে শ্বশুরবাড়ির লোকেদের খাওয়ান তিনি। তার কয়েক দিন মধ্যেই শাকিবের বিয়ের খবর। কতটা সত্যি? শাকিব আবার বিয়ে করবেন, আগে থেকেই কি জানতেন অভিনেত্রী?
এই প্রসঙ্গে আনন্দবাজার অনলাইনকে অপু বলেন, ‘‘শাকিব তো একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ। তাঁর ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কিছু বলার থাকলে তিনি নিজেই বলবেন। তিনি তো আমার ছেলে জয়ের মতো ছোট নন। তবে প্রতিনিয়ত এই প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হতে আমি বিরক্ত।’’
বেশ কয়েক দিন ধরেই শোনা যাচ্ছে ছেলে জয়কে বিদেশে পড়াশোনা করতে পাঠাচ্ছেন তিনি। তবে কি শাকিবের বিয়ের খবর আঁচ করতে পেরেই এই সিদ্ধান্ত? অপু বলেন, ‘‘শাকিব শুধু বাংলাদেশের সব থেকে বড় তারকা নন। তিনি আর্ন্তজাতিক মানের তারকা, বুদ্ধিমান মানুষ। আমার ও শাকিবের যে হেতু সন্তান রয়েছে, তাই সম্পর্ক থেকেই যায়। এক সময় আমার তরফে জয়ের পরিচয় দিতে সংবাদমাধ্যমের সাহায্য নিতে হয়েছিল। সেই সময় পরিস্থিতি তেমনই ছিল। তবে এখন ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলতে স্বচ্ছন্দ বোধ করি না।। দীর্ঘ ন’ছরের সম্পর্ক আমাদের। ওঁর পরিবারের সঙ্গে আমার আত্মিক সম্পর্ক রয়েছে। তা তো ছিন্ন হওয়ার নয়! আর এই মুহূর্তে, বিশেষত ছেলের একটা সুন্দর ভবিষ্যতের কথা ভেবেই ওকে বাইরে পাঠাচ্ছি।’’