অনুপম রায়ের সঙ্গে কেকে।
মঙ্গলবার থেকে শুক্রবার। কেকে-র শেষ অনুষ্ঠানের তিন দিনের মাথায় নজরুল মঞ্চে পা রাখতে চলেছেন অনুপম রায়। দ্বিতীয় বার যাতে বাংলার মুখ না পোড়ে তার জন্য নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও কড়া। এ বারেও কলেজ ফেস্ট। আয়োজক রিজেন্ট পার্কের ক্যালকাটা ইনস্টিটিউট অব ইঞ্জিনিয়ারিং অ্যান্ড ম্যানেজমেন্ট। অনুষ্ঠান চলাকালীন নজরুল মঞ্চের ভিতরে এবং বাইরে অ্যাম্বুল্যান্স থাকবে। থাকবেন বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকেরাও। অনুপমের কাছেও কি শুক্রবারের অনুষ্ঠান আগের অনুষ্ঠানগুলোর মতোই অনায়াস?
জানতে গায়কের সঙ্গে যোগাযোগ করেছিল আনন্দবাজার অনলাইন। শিল্পী সহজ ভাবেই বলেছেন, ‘‘বাড়তি কোনও চাপ নেই। যে ভাবে এত দিন অনুষ্ঠান করে এসেছি সে ভাবেই আজও করব। আমার ম্যানেজমেন্ট টিমকে সব বুঝিয়ে বলা আছে। ওঁরা বাকিটা দেখে নেবেন। আমার কাজ গান গাওয়া। আমি সেটাই করব।’’ বড় অংশের অভিযোগ, আয়োজকদের গাফিলতিতেই নাকি আকস্মিক মৃত্যু কৃষ্ণকুমার কুন্নাথের। অনুপম কি এ বার নিজে আয়োজকদের সঙ্গে অনুষ্ঠান নিয়ে আলোচনায় বসেছেন? এ বারেও তাঁর দাবি, সব দায়িত্ব তাঁর ম্যানেজমেন্ট টিমের। তাঁরা ইতিমধ্যেই আয়োজকদের সঙ্গে কথা বলে নিয়েছেন। এর পরেই অনুপমের আশ্বাস, ‘‘আজকের অনুষ্ঠানে যদি কোনও সমস্যা হয় তা হলে তার দায় আমার টিম ম্যানেজমেন্টের। আয়োজকদের নয়। ওঁদের উপরে কোনও দায় চাপিয়ে দেব না। কারণ, আমার সুবিধে-অসুবিধে, ভাল-মন্দ দেখার দায়িত্ব তাঁদের।’’ তিনি নিজেও আশ্বস্ত, দুর্গাপুজোর ভিড় যদি সুষ্ঠু ভাবে প্রশাসন সামলাতে পারে তা হলে শুক্রবারের নজরুল মঞ্চের ভিড়ও তারা ঠিক সামলে দেবে।
অনুপম এও বলেছেন, কেকে-র অকালমৃত্যু তাঁকে প্রচণ্ড নাড়া দিয়েছে। মাত্র তিন দিন পরে সেই মঞ্চে তিনি। সভাগৃহে, মঞ্চে পা রাখার আগে বার বার এটাই তাঁর মনে পড়বে, এই মঞ্চে কেকে-ও উঠেছিলেন। মনটা সামান্য হলেও ভারাক্রান্ত হবে। নিজের গান তো গাইবেনই। কেকে-র কোনও গান ‘বেলাশুরু’র গায়কের গলায় এ দিন শ্রোতারা শুনতে পাবেন? শিল্পীর দাবি, অবশ্যই থাকবে। তিনি এবং তাঁর দল সে রকমই বিশেষ একটি পর্ব অনুষ্ঠানে রাখতে চলেছেন। তবে ‘জিন্দেগি দো পল কি’ গানের গায়কের বেশি গান তিনি গাইবেন না। আবার বললেন অনুপম, ‘‘আমি একটুও ভয় পাচ্ছি না। দর্শকদের উন্মাদনা আমায় উজ্জীবিত করে। তাই গাইতে গাইতে ওঁদের মধ্যেই আমি থাকব।’’
সবচেয়ে আগে সব খবর, ঠিক খবর, প্রতি মুহূর্তে। ফলো করুন আমাদের Google News, Twitter এবং Instagram পেজ।