Anirban-Saswata-Manasi

প্রশাসনিক ক্ষমতায় এলে কী কী বদল আনবেন অনির্বাণ, শাশ্বত, মানসী?

ডাকাবুকো বলে মানসীর ভোট দিয়ে দেওয়ার সাহস দেখান না কেউ। শাশ্বতকে আবার বাড়ি থেকে বলে দেওয়া হত, কোন চিহ্নে ভোট দিতে হবে। অনির্বাণ ভোট দেওয়ার আগে খুঁটিনাটি চিন্তাভাবনা করেন। টলি অভিনেতারা শোনালেন তাঁদের ভোট-ভাবনা।

Advertisement
আনন্দবাজার অনলাইন সংবাদদাতা
কলকাতা শেষ আপডেট: ২০ এপ্রিল ২০২৪ ১৫:৫৭
Anirban Bhattacharya, Saswata Chatterjee, and Manasi Sinha talk about Lok Sabha Election 2024

(বাঁ দিক থেকে) অনির্বাণ ভট্টাচার্য, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায় এবং মানসী সিংহ। ছবি: সংগৃহীত।

প্রথম দফার ভোট হয়েছে ইতিমধ্যেই। ভোটযুদ্ধের আবহে অনির্বাণ ভট্টাচার্য জানালেন, প্রত্যেক বার ভোট দেওয়ার আগে বিশদে চিন্তাভাবনা করেন। মেদিনীপুরে প্রথম ভোট দিতে গিয়েছিলেন পরিবারের সঙ্গে। “আমাদের বাড়ির কাছে একটি স্কুলে ভোটের ব্যবস্থা করা হত। তার আগে আমি যে স্কুলে পড়তাম, সেখানে ভোট দেওয়া হত।” অনির্বাণকে যদি কোনও প্রশাসনিক ক্ষমতা দেওয়া হয়, অভিনেতা কোন বিষয়টি বদলাতে চাইবেন? প্রশ্ন শেষ হওয়ার অবকাশ না দিয়ে অভিনেতার উত্তর, “প্রথমত, আমি এই ধরনের কোনও ক্ষমতা নিতেই চাইব না। কারণ, কোনও কিছু বদলানোর বাসনা নেই আমার।”

Advertisement

অন্য দিকে, শাশ্বত চট্টোপাধ্যায়ের কাছে প্রথম ভোট দেওয়ার স্মৃতি ঝাপসা হয়ে গিয়েছে। পাশাপাশি এ-ও জানিয়েছেন, আঙুলের কালি তুলতে খুব কসরত করতে হয়েছিল। প্রথম দিকে ভোট দিতে যাওয়ার প্রস্তুতি নিতেন কী ভাবে? অভিনেতার কথায়, “কোন দলকে ভোট দেব, তা নিয়ে চিন্তাভাবনা করার অবকাশ ছিল না। বাড়ি থেকে শিখিয়ে দিত, কোন চিহ্নে ভোট দিতে হবে। আশপাশে এত বিকল্পও ছিল না সেই সময়। কাজেই আমি জানতাম, কোথায় ভোট দিতে হবে।”

মানসী সিংহের কাছে ছোটবেলার ভোটের স্মৃতি মানেই ছুটির আনন্দ। অভিনেত্রী বললেন, “ভোট মানেই স্কুল ছুটি আর একরাশ আনন্দ। রাস্তা ফাঁকা। ঝালমুড়ি, ফুচকাওয়ালা, মায়ের হাত ধরে রাস্তায় হেঁটে যাওয়া।” তবে বড় হওয়ার পরে ভোটের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি পালটে গিয়েছে বইকি! “পরের দিকে ভোট মানে মারামারি, খুনোখুনি। খুব বিরক্তিকর!” বললেন তিনি।

তবে অনেক দিন হল, ভোট দেন না মানসী সিংহ। নেপথ্যে রয়েছে নানা কারণ। জানালেন, যত বার ভোট দিয়েছেন, কখনও কোনও ঝামেলার মধ্যে পড়েননি তিনি। নিজের ভোট অন্য কেউ দিয়েছেন, এমন ঘটনার মুখোমুখি হয়েছেন অভিনেত্রী? তাঁর নির্ভীক উত্তর, “আমার ভোট দিয়ে দেওয়ার সাহস দেখায়নি কেউ। আমি একটু ডাকাবুকো তো, তাই আমার ভোট দিয়ে দিলে যে নাক কেটে যাওয়ার ভয় আছে, সেটা লোকে জানে। আমি যে এলাকায় থাকি, সেখানে ভোট নিয়ে কোনও গোলমাল হয় না। তবে অন্য অনেক এলাকায় এই ধরনের ঘটনা ঘটে। শুনে কী বলব? ‘খারাপ লাগে’ বললে ভীষণ ক্লিশে শোনায়। চারিদিকে বড্ড খারাপ লাগার ছড়াছড়ি!”

যদি কখনও প্রশাসনিক ক্ষমতায় আসেন, তা হলে মহিলাদের জন্য কাজ করবেন তিনি। মহিলাদের উদ্দেশে তাঁর পরামর্শ, “নিজেদের জায়গা নিজেরা অর্জন করে নিন। কে জায়গা দেবে, সেই আশায় বসে থাকবেন না। নিজের জোরে, নিজের লক্ষ্যে, নিজের শর্তে বাঁচুন। আমাকে লোকে দেবে তবে পাব, এই ভাবনা থাকলে জীবনে কিচ্ছু হবে না।”

আরও পড়ুন
Advertisement