অনসূয়া সেনগুপ্ত। ছবি: সংগৃহীত।
কান চলচ্চিত্র উৎসবের মঞ্চে দেশের মুখ উজ্জ্বল করেছেন কলকাতার অনসূয়া সেনগুপ্ত। ‘দ্য শেমলেস’ ছবির জন্য অনসূয়া ‘আন সার্টেন রিগার্ড’ বিভাগে শ্রেষ্ঠ অভিনেত্রীর পুরস্কার পেয়েছেন।অনসূয়ার পর পরিচালক পায়েল কাপাডিয়া তাঁর ‘অল উই ইমাজিন অ্যাজ় লাইট’ সিনেমার জন্য গ্রাঁ প্রি পেলেন। দুই কন্যের কৃতিত্বে উচ্ছ্বাসে ভাসছে দেশ। অনসূয়াকে নিয়ে বাড়তি আবেগ কলকাতার। কারণ, তিনি এই শহরের মেয়ে। তাঁকে শুভেচ্ছা পাঠিয়েছেন আলিয়া ভট্ট থেকে প্রিয়ঙ্কা চোপড়ার মতো তারকারা। শুধু তা-ই নয়, বাংলার তারকারাও অনসূয়ার জয়ে শুভেচ্ছাবার্তা পাঠিয়েছেন। তবে নীরব ছিলেন অনসূয়া। কান থেকে ফেরার দিন দুয়েক বাদে নিজের জয় নিয়ে মুখ খুললেন অভিনেত্রী। নিজের এই জয় উৎসর্গ করলেন ভারতীয় সিনেমার মহিলাদের।
গত কয়েক দিন ধরেই সকলেই প্রায় ফোনে ধরার চেষ্টা করছেন অনসূয়াকে। তবে এক মহাদেশ থেকে অন্য মহাদেশে তাঁকে পাওয়া সহজ নয়। দেশে ফিরে আনন্দবাজার অনলাইনকে অভিনেত্রী বলেন,‘‘আমি সবে দেশে ফিরলাম। সত্যি, এতটা ভালবাসা পাচ্ছি যে, আমি আপ্লুত।’’ তা ছাড়াও সমাজমাধ্যমের পাতায় তিনি জানিয়েছেন, তাঁর এই জয়ের জন্য যেমন গর্বিত, তেমনই এই জয়ের কৃতিত্ব দিয়েছেন ‘দ্য শেমলেস’ ছবির পরিচালক কনস্ট্যান্টিন বোজানোভকে।
অনসূয়া লেখেন,‘‘ প্রথম ভারতীয় অভিনেত্রী হিসেবে এই পুরস্কার জিতে অতন্ত গর্ব বোধ করছি। ধন্যবাদ জানাব জুরিকে, যাঁরা আমাকে যোগ্য ভেবেছেন। এই পুরস্কার আমার একার কৃতিত্ব নয়। আমার ছবির অন্য কলাকুশলী ও পরিচালকের কাছে কৃতজ্ঞ। যিনি আমার প্রতিভার উপর আস্থা রেখেছেন। আমার ছবির পরিচালক জাদুকরের মতো আমার কাছে। গল্পের জোরও এই ছবির বিপুল। আমার এই জয় সেই সব মহিলাদের জন্য, যাঁরা শুধু গল্প বলার তাগিদে দিনরাত এই মাধ্যমটাকে ভালবেসে কাজ করে যাচ্ছেন।’’ শেষে অনসূয়ার সংযোজন, ‘‘ আমি আশা করব, আমার এই জয় ভারতীয় সিনেমায় মহিলাদের কাজের পথকে প্রশস্ত করবে। যাতে ভবিষ্যৎ প্রজন্ম তাদের লক্ষ্য পূরণের স্বপ্ন দেখতে পারে।’’