অনন্যার কথা অনুযায়ী, তিনি আন্দাজ করতে পারছেন কে আরিয়ানকে মাদক সরবরাহ করতেন।
আরিয়ান খানকে কে নিয়মিত মাদক সরবরাহ করতেন? তার হদিশ জানেন অনন্যা পাণ্ডে!
শুক্রবার নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো (এনসিবি)-র জেরার মুখে কিছু কথা স্বীকার করেছেন চাঙ্কি পাণ্ডে কন্যা। বলিউড সংবাদমাধ্যমের খবর, বৃহস্পতিবারেও জিজ্ঞাসাবাদ করা হয় তাঁকে। অনন্যার কথায়, তিনি আন্দাজ করতে পারছেন কে শাহরুখ-পুত্রকে মাদক সরবরাহ করতেন। তাঁর দাবি, ইতিমধ্যেই সেই ব্যক্তি দু-এক বার আরিয়ানকে মাদক সরবরাহও করেছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি শাহরুখ খানের বাড়ির এক পরিচারকের দিকে ইঙ্গিত করেছেন।
অভিনেত্রীর বয়ান অনুযায়ী, অভিযুক্ত মালাডের বাসিন্দা। ইতিমধ্যেই তাঁর উপরে নজর রাখতে শুরু করেছে এনসিবি। সোমবার অভিযুক্তকে দফতরে ডেকে জেরা করা হতে পারে, এমন সম্ভাবনার কথাও শনিবার জানিয়েছে নারকোটিক্স কন্ট্রোল ব্যুরো। জেরার মুখে অনন্যার এই স্বীকারোক্তি নিয়ে ইতিমধ্যেই চলছে জোর চর্চা। অভিনেতা-কন্যা এও জানিয়েছেন, তিনি আরিয়ানকে সিগারেট এনে দেওয়ার বিষয়ে বার্তায় লিখে জানিয়েছিলেন। তাঁর যুক্তি, বলিউডে নাকি গাঁজাকে মাদক হিসেবে দেখা হয় না। অনেক পার্টিতেই সিগারেটের তামাকের সঙ্গে গাঁজা মিশিয়ে ধূমপান করা হয়। তিনিও এক-দু’বার এই বিশেষ ধরনের ধূমপান করেছেন। তাই তিনি জানতেনই না, গাঁজা এ দেশে নিষিদ্ধ মাদক হিসেবে বিবেচিত।
অনন্যার কথা অনুযায়ী, তিনি হোয়াটসঅ্যাপ বার্তায় নিছক মজা করেই আরিয়ানকে গাঁজা এনে দেওয়ার কথা বলেছিলেন। কোনও ভাবেই কোনও মাদকচক্রের সঙ্গে তিনি জড়িত নন। জেরায় হাজিরা দিতে গিয়ে দেরিতে উপস্থিত হন অভিনেত্রী। তার জন্যও তাঁকে কটাক্ষের শিকার হতে হয়েছে। কড়া এনসিবি-কর্তা হিসেবে পরিচিত সমীর ওয়াংখেড়ে সরাসরি তিরস্কার করেছেন অনন্যাকে। বলেন, “এটা কোনও প্রযোজনা সংস্থার দফতর নয়, একটি কেন্দ্রীয় সংস্থার দফতর।” প্রসঙ্গত, দ্বিতীয় দফায় জিজ্ঞাসাবাদের জন্য শুক্রবার সকাল ১১টা নাগাদ এনসিবি-র দফতরে ডেকে পাঠানো হয়েছিল অনন্যাকে। কিন্তু সেখানে সময় মতো এসে পৌঁছতে পারেননি চাঙ্কি-কন্যা। প্রায় তিন ঘণ্টা পর অর্থাৎ দুপুর দুটো নাগাদ এসেছিলেন তিনি।