মীরা রাজপুতের সৌন্দর্যের গোপন কথা। ছবি: ইনস্টাগ্রাম।
অভিনয় জগতের কেউকেটা নন তিনি। তবু তাঁর রূপ নিয়ে চর্চা কম হয় না।অভিনেতা শাহিদ কপূরের স্ত্রী মীরা রাজপুত পোশাক, সাজে টেক্কা দিতে পারেন অনেক বলিউড অভিনেত্রীকেই। তাঁর পেলব ত্বক, সুন্দর কেশের রহস্য জানতে উৎসাহী অনেকেই।
সে কারণেই কখনও সাক্ষাৎকারে, কখনও তাঁর ইউটিউব চ্যানেলে মাঝেমধ্যেই রূপচর্চার টিপ্স দেন তিনি। রকমারি প্রসাধনী নয়, চড়া মেকআপে মুখের খুঁত ঢাকাও নয়, বরং বরাবরই ত্বকের নিজস্ব দীপ্তিতেই বিশ্বাসী মীরা। রূপচর্চাও করেন ঘরোয়া উপকরণে।
ত্রিশ বছর বয়সে মুখে কোনও দাগছোপ নেই তাঁর। ত্বক টান টান। এই বয়সে যখন বহু মহিলারই চুলে পাক ধরে, মুখের দীপ্তি কমে, বলিরেখা পড়তে শুরু করে, তখন কী ভাবে নিজেকে এতটা সুন্দর রেখেছেন মীরা? কিছু দিন আগে একটি সাক্ষাৎকারে দৈনন্দিন রূপচর্চা কী ভাবে করেন, তা জানিয়েছেন মীরা। ভাগ করে নিয়েছেন তিন কৌশল।
ক্লিনজ়িং: মীরা রাজপুতের দৈনন্দিন রূপচর্চার রুটিনে থাকে ক্লিনজ়িং। তবে এক বার নয়, দিনে দু’বার ক্লিনজ়িং করেন তিনি। সকালে এবং রাতে। মীরার কথায়, ‘‘রূপচর্চা আমার কাছে খুব গুরুত্বপূর্ণ। তবে এক দিন নয়, নিয়মিত এবং ধারাবাহিক ভাবে ত্বকের যত্ন নেওয়া আমার কাছে জরুরি। সকাল এবং রাতে দু’বার ক্লিনজ়িং করি, যাতে ত্বকের ধুলো-ময়লা পরিষ্কার হয়ে যায়।’’
এক্সফোলিয়েশন: নিয়মিত এক্সফোলিয়েশন ক্লিনজ়িংয়ের মতোই জরুরি। মীরার কথায়, ত্বকে জমে থাকা মৃত কোষ, অতিরিক্ত তেল, ময়লা দূর করতে সাহায্য করে এক্সফোলিয়েশন। ত্বক নরম, সুন্দর রাখতে সাহায্য করে এক্সফোলিয়েশন।
সানস্ক্রিন: রোদের তাপে ত্বকের ক্ষতি হয়। ত্বকে বলিরেখা পড়ে যাওয়া, কালচে ছোপ হয়ে যাওয়ার জন্যও সূর্যের অতিবেগনি রশ্মি দায়ী। মীরা বলছেন, ‘‘ত্বকে আগাম বলিরেখা পড়ে যাওয়া এবং সূর্যরশ্মির প্রভাবে ত্বকের ক্ষতি রুখতে সানস্ক্রিন প্রতি দিন ব্যবহার করা খুব জরুরি।’’
বিভিন্ন সময়ে ইউটিউবে রূপচর্চার টিপ্স ভাগ করে নেন মীরা। নামীদামি প্রসাধনী নয়, তিনি রূপচর্চায় বেসন, হলুদ, মধুর মতো উপকরণ ব্যবহার করেন। একই সঙ্গে মীরার পরামর্শ— মেকআপে খুঁত ঢাকার চেয়ে নিয়মিত রূপচর্চায় ত্বকের জৌলুস বজায় রাখুন।