‘জওয়ান’-এ শাহরুখ খান। ছবি: সংগৃহীত।
৭ সেপ্টেম্বর, ২০২৩। বিশ্ব জুড়ে মুক্তি পেয়েছে শাহরুখ খানের ছবি ‘জওয়ান’। অ্যাটলি পরিচালিত ‘অ্যাকশন এন্টারটেনার’ ঘরানার এই ছবি ঘিরে উত্তেজনায় ফুটছে গোটা দেশ। শুধু ভারতই নয়, শাহরুখের ক্যারিশমা বড় পর্দায় দেখতে মুখিয়ে রয়েছেন আমেরিকা, দুবাইয়ের দর্শক এবং অনুরাগীরাও। আর ভারতের পড়শি দেশ? সাধারণ ভাবে, বিদেশি ছবি মুক্তির ক্ষেত্রে নির্ধারিত দিনের কয়েক দিন পরে বাংলাদেশে মুক্তি পায় সেই ছবি। তবে ‘জওয়ান’-এর ক্ষেত্রে তা হওয়ার কথা ছিল না। ৭ সেপ্টেম্বর বিশ্বের অন্যান্য দেশের সঙ্গেই বাংলাদেশেও মুক্তি পাওয়ার কথা ছিল শাহরুখের ছবির। ৭ সেপ্টেম্বর দিন গড়িয়ে বিকেল হয়ে গেলেও এখনও সেই মুক্তি ঘিরে রয়েছে ধোঁয়াশা। আদৌ কি বাংলাদেশে মুক্তি পাবে ‘জওয়ান’?
বড় মাছ নাকি গিলে খাবে ছোট মাছকে! ‘জওয়ান’-এর মতো এত বড় মাপের ছবি দেশের সর্বত্র মুক্তি পেলে স্থানীয় ছবি ও তার সঙ্গে যুক্ত শিল্পীদের জায়গা কোথায়? প্রশ্ন তুলে প্রতিবাদ জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের কিছু স্থানীয় শিল্পী। বাংলাদেশি সংবাদমাধ্যম মারফত খবর, প্রতিবাদীদের মধ্যে অন্যতম সে দেশের পরিচালক দেলোয়ার জাহান ঝন্টু। বাংলাদেশে প্রযোজক সমিতির অলিখিত নিয়ম অনুযায়ী, ইদ ছাড়া একই সপ্তাহে দু’টির বেশি ছবি মুক্তি পায় না বাংলাদেশে। এ দিকে ৮ সেপ্টেম্বর মুক্তি পেতে চলেছে দু’টি বাংলাদেশি সিনেমা। তাদের মধ্যে একটি দেলোয়ার জাহান ঝন্টু পরিচালিত ‘সুজন মাঝি’, অন্যটি মুশফিকুর রহমান গুলজারের ‘দুঃসাহসী খোকা’। ৮ সেপ্টেম্বর এই দু’টি ছবির মুক্তি আগে থেকেই নির্ধারিত হয়ে যাওয়ায় চলতি সপ্তাহে আর কোনও ছবির মুক্তি সম্ভব নয় বলে দাবি দেলোয়ার জাহান ঝন্টুর। তিনি হুঁশিয়ারি দিয়েছেন, ৭ সেপ্টেম্বর ‘জওয়ান’ মুক্তি পেলে আন্দোলনে নামা ছাড়া আর কোনও উপায় থাকবে না তাঁর কাছে।
অন্য দিকে, শেষ পাওয়া খবর অনুযায়ী, বাংলাদেশ সেন্সর বোর্ড নাকি সবে ‘জওয়ান’ দেখার প্রক্রিয়া শুরু করেছে। এই অবস্থায় কি ৭ সেপ্টেম্বর, বৃহস্পতিবারই সেখানে ‘জওয়ান’-এর মুক্তি সম্ভব? তা নিয়েই তৈরি হয়েছে অনিশ্চয়তা। এর আগে বাংলাদেশে মুক্তি পেয়েছিল ‘পাঠান’ ও ‘কিসি কা ভাই কিসি কি জান’। দু’টি ছবিই আশানুরূপ ব্যবসা করতে পারেনি। তৃতীয় ভারতীয় ছবি হিসাবে কি সেই ধারা ভাঙতে পারবে ‘জওয়ান’? উত্তর মিলবে ছবির মুক্তি ঘিরে অনিশ্চয়তা কাটার পরে।